ঢাকা: মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানিতে ১ শতাংশ হারে শুল্ক প্রয়োগ করায় ব্যবসায়ীদের বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। বংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) থেকে এ-তথ্য জানা যায়।
বিজিএমইএ থেকে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৩৩২ মিলিয়ন ডলারের। সে হিসাবে এই আমদানির ওপর এক শতাংশ হারে কর প্রয়োগ করলে বাড়তি খরচ হতো ২৩ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ডলার। টাকায় যার মূল্যমান প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। যেহেতু প্রতি বছরই মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়ছে সে হিসাবে পরবর্তী বছরগুলোতে ১ শতাংশ হারে কর আরোপ করায় বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
এই কর আরোপ ‘সময়োপযোগী হয়নি’ বলে দাবি করে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির(ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে যে অবস্থা যাচ্ছে, তাতে করে বাজেটে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ হারে কর আরোপ সময়োপযোগী হয়নি। ১ শতাংশ কর খুব বেশি না। কিন্তু এতো সমস্যার পর ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা নিরুৎসাহিত হবে। ’
একই মত প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজীম। তিনি বাংলানিজকে বলেন, বর্তমান সময়ে অ্যাকর্ড অ্যালায়ান্সের চাপতো আছেই। তার ওপর গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই ১ শতাংশ হারে কর আরোপ কয়েক বছর পর করলেই আর কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু এই সময়ে ব্যবসায়ীদের নতুন বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে এই সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, ১৫ বছর আগে ২০০০-০১ অর্থ বছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ৪৮২ মিলিয়ন ডলারের যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩২ মিলিয়ন ডলারে। গত ১৫ বছরে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
জেএম