ঢাকা: ‘ক্ষুদ্র ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিই প্রথম ব্যক্তি।
সোমবার (০৬ জুলাই) বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি নিয়েই তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ। গ্রামীণ ব্যাংকের উন্নয়ন করা প্রয়োজন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। ড. ইউনূসের সমর্থকরা বিভিন্ন সময় মামলা করে এ উন্নয়ন ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সভায় ড. ইউনূসের অবদান সম্পর্কে মুহিত বলেন, ড. ইউনূসের আগে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের ইতিহাস খুব ভালো ছিল না। এছাড়া স্বল্প পরিসরে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন আজিজ আহমেদ, গওহর রিজভীর বাবা রিজভী ও কুমিল্লার আক্তার হামিদ খান।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ও অনিয়ম দুর্নীতিতে ভরপুর ইনসুরেন্স খাত। আর শেয়ারবাজার একটা ফটকা বাজার ছিল। একে মানুষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর এটি মানুষ করতে সরকার কাজ শুরু করেছিল ২০১০ সালে।
ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম-২০১৪-১৫ এবং মানি-লন্ডারিং ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে-২০১৫-১৬ সালের জন্য প্রণিত কৈশলপত্র ‘প্রিভেন্টিং মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমরেটিং ফাইন্যান্সিং অব টেরোরিজম’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
অর্থ-মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. আসলাম আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫, আপডেট ২১২৬
এসই/আইএ