ঢাকা: ব্যবসায়ীদের বৈদেশিক ঋণ নিতে গ্যারান্টি ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না।
এ বিষয়ে বুধবার (০৮ জুলাই) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, বিদেশি ঋণদাতার অনুকূলে ঋণ গ্রহীতার দেওয়া গ্যারান্টি যেমন- কর্পোরেট গ্যারান্টি, ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, তৃতীয় পক্ষীয় গ্যারান্টি প্রভৃতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনের সূত্রে গৃহীত ঋণের বিপরীতে বিদেশি ঋণদাতার পক্ষে জামানত তত্ত্বাবধান সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের আবশ্যকতা প্রত্যাহার করা হলো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসরকারি খাতে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সুদ ও বৃহৎ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সুবিধা বিবেচনায় বিদেশি উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করছে।
তাই বিদেশি ঋণপ্রাপ্তি প্রক্রিয়া আরও সহজতর করতে ঋণের বিপরীতে গ্রাহকের গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে এ ঋণ দেশীয় শিল্প বিকাশে ব্যয় না হয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হওয়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি জরিপ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সম্প্রতি দেশের ২১টি ব্যাংকে পরিচালিত পরিদর্শনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈদেশিক ঋণের বেশিরভাগ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যবহারের কথা থাকলেও তা দিয়ে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর পূর্বের ঋণের দায় মেটানো হয়েছে। মূলত বিদেশ থেকে ঋণ এনে দেশীয় বিভিন্ন ব্যাংকের বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহৃত না হওয়ায় নতুন ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এ ঋণের আধিপত্যে স্থানীয় ব্যাংকের তহবিল অলস পড়ে থাকছে, যা সরাসরি ব্যাংকের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আর বৈদেশিক মুদ্রার দর বৃদ্ধি পেলে অর্থনীতিতে নতুন সঙ্কট তৈরির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
এসই/এসআর