ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেইলার্স কর্মীদের চোখে যেন ঘুম নেই

আবুল কালাম আজাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
টেইলার্স কর্মীদের চোখে যেন ঘুম নেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাবনা: ঈদ যত এগিয়ে আসছে, পাবনার বিভিন্ন টেইলার্সে কাজের চাপ তত বাড়ছে। কারিগরদের চোখে যেন ঘুম নেই।

সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পোশাক তৈরির এ কাজ।

শহরে ঈদের বাজার জমে উঠছে। বিভিন্ন মার্কেটে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কাপড়ের দোকান, টেইলার্স ও লেডিস কর্নারে ভিড় তুলনামূলকভাবে বেশি।
 
শহরের নিউমার্কেট, রবিউল মার্কেট, খান বাহাদুর শপিংমল, স্টার কমপেক্স, হাজী মার্কেট, হুমায়রা মার্কেট, সেভেন স্টার, এআর প্লাজা, এআর কর্ণার, নিউ পয়েন্ট, পৌর হকার্স মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, আওরঙ্গজেব সড়ক, মহিলা কলেজ রোডে অবস্থিত বিভিন্ন দোকানে ঈদের কেনাকাটা করছে ক্রেতারা।

এসব মার্কেটের উল্লেখযোগ্য দোকানের মধ্যে রয়েছে- মিনা ফেব্রিক্স, গ্রামীণ চেক, বৃষ্টি ফেব্রিক্স, গাঁওগেরাম আঁচল, শিল্প আঙিনা, ফ্যাশন টাচ, আলাল, অপরূপা, প্রজাপতি, আকাশ, কালেকশন। এসব দোকানসহ পোশাকের প্রায় সব দোকানে ক্রেতারা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তৈরি পোশাক, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্টসহ বিভিন্ন কাপড় কিনছে ক্রেতারা।

পোশাকের দোকানগুলোতে রঙ-বেরঙের বাহারি ডিজাইনের পোশাক শোভা পাচ্ছে। তবে, পোশাকের চড়া দামে ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেকে। তবে, দোকানিরা বলছে, এবারে পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

দোকানগুলোতে বিভিন্ন নামের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে। থ্রি-পিসের দাম ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া, তৈরি পোশাক এক হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে আরো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শহরের বাবুল টেইলার্স, মিতালী, প্রিন্স, ওকে, টাচ, অনুপমা, মার্ক টেইলার্স, চলন্তিকা, স্টাইল লেডিস কর্নার, মেমসাহেব, প্রিয়াংকা লেডিস কর্নার, নিপুন লেডিস কর্নারসহ বিভিন্ন টেইলার্সে পোশাক তৈরির জন্য গ্রাহকরা বেশি ভিড় করছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের কারিগর ও মালিকদের চোখে যেন ঘুম নেই। কারিগররা জানায়, সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পোশাক তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের। মাঝে-মধ্যে কাজ শেষ করতে হয় আরো দেরিতে।

টাচ টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম জানান, কাজের চাপে তার কারখানার কারিগরদের কঠিন সময় কাটছে। ঘুম নেই, শুধু কাজ আর কাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।