নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদীর উপর প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এক কিলোমিটারব্যাপী মুছাপুর ক্লোজার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ বারের চেষ্টায় নির্মিত এ ক্লোজারটি যদি টিকে থাকে তাহলে এখান থেকে বছরে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এসময় মন্ত্রাণলয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কুমিল্লা ও উত্তর নোয়াখালী সমন্বিত নিষ্কাশন প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন ডাকাতিয়া, পুরাতন ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদী নিষ্কাশন প্রকল্প মুছাপুর ক্লোজার নিমার্ণের ফলে নদী ভাঙন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে রক্ষা পাবে এ অঞ্চলের মানুষ ও ফসলি জমি।
তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের মাধ্যমে নোনা পানি প্রবেশ করে ফসল নষ্ট হবে না। এর ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে কৃষক ও সরকার।
গত কয়েক বছর ধরে পাঁচ বারের চেষ্টায় আমরা এবার ক্লোজার নির্মাণে সফল হয়েছি। এ ক্লোজার যদি টিকে থাকে তাহলে এখান থেকে বছরে প্রায় পাঁচ শত কোটি টাকার ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। পাশাপাশি আট হাজার একর কৃষি জমি পুনরুদ্ধারের করতে পারবো বলে জানান মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব আলম আবদুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আফিস আহমেদ আনসারী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী এম রিয়াজুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
এসএইচ