ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিউমার্কেট

শিশুপোশাক-জুয়েলারি-পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
শিশুপোশাক-জুয়েলারি-পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদ কেনাকাটার শেষ সময়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মার্কেট খ্যাত নিউমার্কেটে বিক্রি জমে উঠেছে। শেষ সময়ে শিশুদের পোশাক, জুয়েলারি ও পাঞ্জাবি বিক্রি বেড়েছে।

তবে দাম কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

অপরদিকে, বৃষ্টির কারণে বিক্রিতে কিছুটা ভাটা ও গতবাবের ঈদের চেয়ে বিক্রি অনেক কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
 
নিউমার্কেটে মূল মার্কেটের চেয়ে ফুটপাতে ক্রেতা বেশি। শেষ সময়ে ভিড় ও দাম কম হবে এমন আশায় অনেকে সপরিবারের কেনাকাটা করতে এসেছেন।
 
রাজধানীর গ্রিনরোড থেকে মেয়ে মিতুকে নিয়ে পোশাক কিনতে এসেছেন মা ন‍ূরে জান্নাত। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি।
 
নূরে জান্নাত জানান, ঈদ তো ছোটদের। বিকেলে ভিড় বেশি থাকে বলে সকালে আসলাম। দেড়শ’ টাকায় টপ কিনলাম। তবে দাম আগের চেয়ে একটু বেশি।
 
ফুলবাড়িয়া থেকে মেয়ে, ছেলে ও স্ত্রীসহ এসেছেন ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন। দাম কম ও পছন্দের জিনিস পাওয়ার আশায় শেষ সময়ে আসা বলে জানিয়েছেন তিনি।
 
আওলাদ জানান, ছেলের জিন্সপ্যান্ট, জুতা, টুপি, পাঞ্জাবি, মেয়ের জামা, জুতা, জুয়েলারি, স্ত্রীর শাড়ি, জুতা ও নিজের জন্য পাজ্ঞাবি, আতর কিনলাম।
 
তিনি জানান, দেখেশুনে সময় নিয়ে কেনা যায় বলে প্রতিবছর শেষ সময়ে আসি। তবে দাম অনেক বেশি।
 
শেষ সময়ে জুয়েলারি (সিটি গোল্ড) দোকানে ভিড় করছেন সব বয়সী নারীরা। চুড়ি সব বয়সী নারীদের পছন্দের শীর্ষে ও বিক্রি বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
 
ঢাবি শিক্ষার্থী নুসরাত বিনতে জামান জানান, চুড়ি ছাড়া সব কেনাকাটা শেষ। ঈদের দিন চুড়ি ছাড়া হয় নাকি। নিজ ও দুই ছোট বোনের জন্য প্রতিবছর চুড়ি কিনতে হয়।
 
বিক্রেতা মো. সোহেল জানান, প্রতিবছর শেষ সময়ে বিক্রি বাড়ে। চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। তবে স্কুল-কলেজের মেয়েরা প্রধান ক্রেতা।
 
পরিবারের সঙ্গে আসা অনেক শিশু, তরুণ, তরুণীকে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুয়েলারি, জুতা, গেঞ্জি, কসমেটিক্স কিনতে দেখা গেছে।
 
বেড়েছে পাঞ্জাবি বিক্রি। ফুটপাতে একশ’ থেকে তিনশ’, মার্কেটে ৩ হাজার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে নানা রঙের পাঞ্জাবি। তবে তরুণ ক্রেতা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
 
৩শ’ টাকায় রঙিন ও কাজ করা পাঞ্জাবি কিনলেন সিটি কলেজের ছাত্র হাবিব নবী। ৫ বন্ধু মিলে একই রঙের পাঞ্জাবিতে ঈদ করবেন কক্সবাজারে।
 
বিক্রেতা সৌরভ জানান, তরুণ ক্রেতা বেশি। বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের আসতে সমস্যা হচ্ছে। বাকি দু’দিন বৃষ্টি থাকলে লোকসান গুনতে হবে।
 
সাধ্য ও পছন্দের থ্রি-পিস, প্যান্ট, শার্ট কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছে ফুটপাত ও ফুটপাতের পাশের কয়েকটি মার্কেটে।
 
এদিকে, মার্কেটের বিক্রেতারা শুনিয়েছেন হতাশার সুর। তাদের দাবি, ফুটপাতের কারণে অনেক ক্রেতা মার্কেটে আসতে চায় না।
 
চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সের ইবিএ ফ্যাশনের মালিক নুর হোসেন জানান, ফুটপাতের কারণে ক্রেতা কম আসে। বিক্রিও কম। তবে শেষ দু’দিন বিক্রি বাড়তে পারে।
 
বেড়েছে জুতা বিক্রি। বর্ষায় বৃষ্টিকে মাথায় রেখে অনেকে কিনছেন বার্মিজ ও শাহী জুতা। আকর্ষণীয় ও দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় বিক্রি ভালো বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
 
শেষ সময়ে দাম কম হওয়ার আশায় বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। অনেকে সময় না পাওয়ায় শেষ সময়ে কিনতে এসেছেন। তবে মাঝে মধ্যে বৃষ্টির কারণে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।