ঢাকা: সরকারের কৃষি ও কৃষক বান্ধব নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫.৫ শতাংশ বেশি।
সোমবার(২৭ জুলাই’২০১৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির মূল দিকগুলো ঠিক রেখে কয়েকটি নতুন বিষয় এ নীতিমালায় সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণের আওতা বৃদ্ধি, পল্লী এলাকায় ব্যাংকিং কর্মকা- সম্প্রসারণে কৌশলগত পদ্ধতি গ্রহণ, কৃষকদের ব্যাংকমুখী করা তথা আর্থিক সেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণ, আমদানি বিকল্প ফসল চাষে বাড়তি উৎসাহ প্রদান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব প্রদান, নেপিয়ার ঘাস, ক্যাপসিকাম চাষ, আম ও লিচু চাষে ঋণ প্রদানে নির্দেশনা, উদ্ভাবিত নতুন ফসল ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
গত অর্থবছরের কৃষি ঋণ নীতিমালা বাস্তবায়নের কয়েকটি দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। ফসল খাতে ৪৭.৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। লাখ ৪৩ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি পেয়েছে ১১,২০৩ কোটি টাকা বা ৭০ শতাংশ এবং দুই লাখ ৫৬ হাজার বর্গাচাষি পেয়েছে প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা বা ৫.৭২ শতাংশ ঋণ। আর দুই লাখ ৬৬ হাজার নারী পেয়েছে ৯০০.৯২ কোটি টাকা বা ৫.৬৪ শতাংশ ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পুন:অর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় গত অর্থবছরে একটি অ-সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক লাখ ৬০ হাজার বর্গাচাষিকে ৪৫০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোও সরাসরি বর্গাচাষিদের যথেষ্ট ঋণ প্রদান করছে। গত অর্থবছরে আদায়যোগ্য ঋণের ৭০ শতাংশ আদায় হয়েছে যা আগের অর্থবছরে তুলনায় বেশি।
একইভাবে কৃষি ঋণ আদায়ের ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে আরো যত্নবান হওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
এসই/এসএস