ঢাকা: গ্রাহকদের প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এইমওয়ে করপোরেশনের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার (২৭ জুলাই’২০১৫) এ চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়।
মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিগগিরই এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে। মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, এইমওয়ে করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাইয়্যেদ রিদওয়ান বিন ইসহাক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, এইমওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, এইমওয়ের পরিচালক (অর্থ) ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক মো. মশিউর রহমান ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএম সালাউদ্দিন।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সমবায় সমিতি আইন-২০১১, সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪ ও সোসাইটির অনুমোদিত উপ-আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছেন। প্রতারণামূলক এমএলএম পদ্ধতি ব্যবহার করে কমিশনের ভিত্তিতে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভের প্রলোভনে আলোর দিশারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের প্রায় ৪০ হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারীর অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
এতে আসামিরা প্রায় ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা স্থানান্তরপূর্বক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রচলিত ও অনুমোদিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ব্যবসা করার আড়ালে এমএলএম পদ্ধতিতে ব্যবসা করে নিজেরা অধিকহারে লাভবান হয়েছেন।
কমিশনের অনুসন্ধানে এ সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর ২০) দায়ের করেন। দেড় বছর পর তদন্ত শেষে এ মামলায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম মামলাটি তদন্ত করেছেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর ৪(২) সহমানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় মামলাটির চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
এডিএ/এনএস