ঢাকা: আর নগরীর আগারগাঁও নয়, এবার পূর্বাচল স্যাটেলাইট শহরে হতে যাচ্ছে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। বিদেশী ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের পণ্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে ২০ একর জমির উপর এ মেলা প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে।
এজন্য প্রতিটি ৯ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট ৮০৬টি বুথ সংবলিত দু’টি বড় হল রুম নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দেড় হাজার কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ সম্মেলন কক্ষ, প্রেস সেন্টার, সভাকক্ষ, বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ মেলা প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার অনুদান দেবে ৬২৬ কোটি টাকা। বাকি ১৭০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে আসবে।
জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
ইপিবি সূত্র জানায়, বিশেষায়িত বাণিজ্য মেলা আয়োজন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হবে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সহ-সভাপতি শুভাশিষ বসু বাংলানিউজকে বলেন, আগারগাঁওয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতিবছর আমরা বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে থাকি। এবার এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে মেলা প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে।
ইপিবি সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পূর্বাচলে এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। জমি বিবেচনায় রেখে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের (বিআএডি) মাধ্যমে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রকল্পের নকশায় প্রথমে ভূ-গর্ভস্থ কার পার্কিং ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা অর্থনৈতিক এবং কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে যৌক্তিক নয় বলে জানায় ইপিবি।
এরপর ভূ-উপরিভাবে কার পার্কিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া প্রস্তাবিত নকশায় সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় মাতৃ কর্নার ও শিশুদের জন্য একটি বিনোদন কর্নার রাখা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। একনেক কার্য বিবরণীর তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রকল্পটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৫
এমআইএস/আরএম