ঢাকা: পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে নতুন পোশাক কেনাকাটার কারণে মাসওয়ারী মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বুধবার (৪ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ঈদে ছোট বড় সবার কাপড় চোপড় কেনা কাটার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, খাদ্যপণ্যে জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুনে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। জুলাই মাসে এর হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তবে অস্বাভাবিক হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, অাসবাবপত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
এ খাতে জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। জুলাই মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঈদের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে পোশাক ও কাপড় চোপড় বেশি কেনাকাটা হয়েছে। তবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী হয়নি।
তিনি বলেন, জুলাই মাসে সব ধরনের খাদ্যপণ্যে মাসওয়ারী মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধজাতীয় ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে কমেছে।
এদিকে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জুনে ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। জুলাই মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে স্বস্তি ফিরেছে মজুরি সূচকেও। জুন মাসে মাসওয়ারী জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মজুরির হার সূচক ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জুলাই মাসে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ বৃদ্ধি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর