ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে ৪০ বছরে ক্রয়ক্ষমতা ১২ গুন বেড়েছে

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
দেশে ৪০ বছরে ক্রয়ক্ষমতা ১২ গুন বেড়েছে

ঢাকা: চল্লিশ বছর আগে যার ক্রয় ক্ষমতা আট পয়সায় ছিলো এখন তা ১২ গুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে এক টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর এক টাকার ক্রয় ক্ষমতা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৫ পয়সায়।


 
বিগত ৩৯ বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির কারণে বর্তমান চিত্র এমনটি। তবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরের মূল্যস্ফীতিও ভূমিকা রেখেছে এ চিত্র পাল্টাতে।
 
একদিকে যেমন জিডিপি বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, অন্যদিকে এ সময় প্রতিবছর গড়ে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
 
এসব কারণেই আগের আট পয়সার মূল্য এখন এক টাকা। আর আগের এক টাকার মূল্য ১২ দশমিক ৪৫ টাকা।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেওয়া সরকারের অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
   
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে বাজারে প্রচলিত মুদ্রার তুলনামূলক হিসাবে সরকারি মূদ্রার প্রচলনও কমে যাচ্ছে।
 
দেশের ৯৯ দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবহার করছেন। প্রয়োজন না থাকায় ১ পয়সা থেকে ১০ পয়সার মুদ্রা কেউ ব্যবহার করেন না। এমনকি ২৫ ও ৫০ পয়সার মুদ্রাও ব্যবহার করতে চান না।
 
পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে, এক টাকা বা ২ টাকার নোট ব্যবহারও কমে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আর প্রয়োজন না থাকায় পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রার ব্যবহার প্রায় উঠেই গেছে।
 
১৯৭৪-৭৫ অর্থ সালে বাজারে প্রচলিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৩১৬ দশমিক ৮ কোটি টাকা। কিন্তু  জিডিপি বাড়ায় ২০১৩-১৪ অর্থ বছর শেষে বাজারে প্রচলিত অর্থের মোট পরিমাণ ২৭০ গুণ বেড়ে দাঁড়‍ায় ৮৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকায়। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের নভেম্বর নাগাদ এটি আরো বেড়ে ৯০ হাজার ৭৭৪ দশমিক ২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
 
বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রা বেড়ে গেলেও সে হিসাবে সরকারি নোট ও কয়েনের হার তেমন বাড়েনি। নোট-কয়েন ২০১৩-১৪ অর্থ বছর শেষে ৭৭১ দশমিক ১ কোটি টাকায় এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯৩ দশমিক ৬ কোটি টাকায়।
 
এই চিত্র অনুযায়ী ১৯৭৪-৭৫ সালের ১০ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রার তুলনায় সরকারি মুদ্রার হার কমে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশে নেমে আসে।

সরকারের অর্থ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, ২ টাকার মূল্যমাণ পর্যন্ত নোট বা কয়েন সরকারি মুদ্রা হিসেবে বাজারে প্রচলিত রয়েছে।
 
১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ করে মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
 
পরিবর্তিত চাহিদার ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে এক টাকার নিচে কোনো কয়েন বা নোট বাজারে পাওয়াও যাবে না-এমনটিই অভাস সরকারের অর্থ বিভাগের।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
এসএমএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।