ঢাকা: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত। এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হলেও চূড়ান্ত চুক্তি বাকি।
এর সত্যতা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারতে। এজন্য ট্রানজিট ফি ও বন্দরের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।
চলতি বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দু’দেশের মধ্যে এ দু’টি বন্দর ব্যবহার সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে দু’দেশের নৌ-সচিব পর্যায়ে বৈঠকের কথা থাকলেও এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ভারতের কাছ থেকে এ বিষয়ে শিগগিরই উত্তর পাওয়া যাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক সমঝোতা স্বারকের পর এবার চুক্তি বা প্রটোকল সই করতে হবে, যার মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ চুক্তি বা প্রটোকলের আগে সার্বিক দিকগুলো নির্ধারণ বিবেচনা করে নিতে চায় বাংলাদেশ। তাই এবারের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিট ফি নির্ধারণ, প্রটোকলে নতুন বন্দর সংযোজন, নৌ ও সমুদ্র পথে যাত্রী পরিবহন, সমুদ্র বন্দর ব্যবহারসহ অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা হবে। তবে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগেই যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
আগস্ট মাসেই এ কমিটির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র, যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিআইডব্লিউটিএ, এনবিআর ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ট্রানজিট ফি’র বিষয়ে সুপারিশ করে এনবিআর। এ সময় অন্যদের কাছেও মতামত চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মংলা থেকে রেল, নৌ বা সড়ক পথ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পণ্য পরিবহন করবে ভারত। আর চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ফেনী নদীর উপর দিয়ে সাবব্রুম হয়ে নিজেদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন করতে চায় দেশটি। এর ফলে পণ্য পরিবহনে বিরাট খরচ কমবে দেশটির।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
জেপি/আরএম