ঢাকা: বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চর অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান চর অঞ্চল নিয়ে কাজ করবে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে অগ্রাধিকার পাবে।
শনিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে চর লাইভলিহুড প্রোগ্রাম (সিএলপি) আয়োজিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, চরের জীবন মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই আলাদা। স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা, জীবন-জীবিকা, অন্যান্য সেবা ও সুযোগ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন চরের লাখো মানুষ। এমন অনেক চর আছে যেখানে বংশানুক্রমে অনেক পরিবার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
তিনি বলেন, মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চর অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা খুবই করুণ। চরে কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস সীমাবদ্ধ। তবে সুচিন্তিত কৌশল গ্রহণ করলে চরেও আয় বৃদ্ধির সুযোগ আছে। তাই এসব অঞ্চলে টেকসই দারিদ্র্য নিরসনে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করার সময় কিছু বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখা জরুরি।
গভর্নর বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। ইতিমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের পরিচয় পেয়েছি। এখন দ্রুত দ্রুত এগুচ্ছি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবার পথে।
‘এজন্য আমাদের দারিদ্র্য আরও কমাতে হবে। মাথাপিছু আয় আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে চর, হাওড়, পার্বত্য এলাকা ও উপকূলীয় এলাকাসহ অবহেলিত জনপদের অতিদারিদ্র্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দূর করতে হবে’, বলেন আতিউর রহমান।
চর লাইভলিহুড প্রোগ্রামের দলনেতা ম্যাথিউ প্রিচার্ড’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী। এ ছাড়া সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সওয়েল স্টাম্প, অস্ট্রেলিয়ান এইড, ইউকেএইড, সিএলপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এএসএস/এমজেএফ