ঢাকা: বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পোশাক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স’র একটি প্রতিনিধি দল।
৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনের এ সফরে তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে স্থগিত জিএসপি প্রসঙ্গও।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সরকারি একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (মন্ত্রী ও সচিব), শ্রম মন্ত্রণালয় (সচিব ও আইজি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (সচিব), রাজউক’র (চেয়ারম্যান) ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সঙ্গে এ দলটি আলোচনা করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকার ভাবমূর্তিও। সে দেশের বড় বড় ক্রেতারাও চায়, বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পাক। তাই, এ টিমটি সে সব ক্রেতাদের চাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেবে এ সফরে। ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা থাকবে তাদেরও। অন্যান্য আলোচনার মধ্যে জিএসপি প্রসঙ্গ থাকবে গুরুত্বের সঙ্গে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টিমটিতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি থাকছেন; যিনি এখন অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক। সংস্থার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মারা এম. বাট ইতোমধ্যে চিঠি আদান-প্রদানে বৈঠকের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করেছেন।
বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, সংস্থাটির প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক কোনো ধারণা থাকলে বা সম্পর্কে কোনো দূরত্ব থাকলে সেটি ঘোচানোর চেষ্টা করবে এ দল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সে কর্মকর্তা বলেন, শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিধি দলটিকে কীভাবে ‘হ্যান্ডেল’ করে, তার ওপরও নির্ভর করবে জিএসপি প্রসঙ্গে অগ্রগতি।
মন্ত্রণালয়টির টেক্সটাইল সেলের ডেপুটি চিফ মো. রুহুল আমিনও বাংলানিউজকে প্রতিনিধিদলের আগমন ও বৈঠক সম্পর্কে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মারা এম. বাট যোগাযোগ করেছেন। তারা আসছেন এবং এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উভয় পক্ষ থেকেই।
গত ২৯ জুলাই থেকে বিশ্বের ১২২টি দেশ ও অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি পুনর্বহাল করা হয়। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের নাম নেই।
রানা প্লাজা ধসে ব্যাপক হতাহতের পর ২০১৩ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস বার্নিকাটসহ কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হান ফুজল এসকায়ার এবং যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের।
জিএসপি’র বিদ্যমান শর্তের অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ১৬টি শর্ত বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র আরো অগ্রগতি দেখতে চায় বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬টি শর্ত আমরা পূরণ করেছি। শুধুমাত্র শ্রম আইনের বিধিমালা তারা বাস্তবায়িত দেখতে চায়। বিধিমালা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে।
জিএসপি থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে মন্ত্রী সে দিন বলেন, কী কারণে বাদ দিয়েছে, তা তারাই ভালো জানে!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
এসকেএস/এবি