ঢাকা: সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবার সারাদেশে অসৎ ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তালিকা তৈরি করছে বলে জানা গেছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অসৎ ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত আছেন বা থাকবেন, তারা ছাড় পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নবম তলায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের নতুন অফিসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে চোরাচালান রোধ, রাজস্বফাঁকি রোধ, কাস্টমস সংক্রান্ত গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার টিম সারাদেশে কাজ করছে, যাতে করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে না পারেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, যদি প্রত্যেক মানুষ তার শুল্ক সঠিকভাবে রাজস্ব বোর্ডে জমা দেন, তাহলে প্রতি বছর অন্তত দুটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব। আর এটা সম্ভব করতে হলে দেশে রাজস্ব আদায়ের পরিবেশ থাকা প্রয়োজন।
গোয়েন্দাদের সোর্স মানি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন, আমরা তাদের পুরস্কৃত করার চেষ্টা করি। এদিক থেকে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু রাজস্ব বিভাগ আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের বাজেটের মধ্যে এ বিষয়গুলো থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভবপর হয়।
চোরাচালান মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নজিবুর রহমান বলেন, এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। এ সম্পর্কিত মামলার তদন্ত চলছে। দেশের স্বার্থে রাজস্ব প্রয়োজন। সেটা নিয়ে কেউ যেন দীর্ঘসূত্রিতা না করে; সে বিষয়েও আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য চেষ্টা চলছে।
বিমানবন্দরে অহেতুক যাত্রী হয়রানি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কাজ মানুষের সেবা করা। বিমানবন্দরে যাত্রীসেবায় যে সব কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের প্রশিক্ষিত করার প্রক্রিয়া চলছে; যাতে তাদের কাছ থেকে যাত্রীরা ভালো আচরণ পান।
চোরাচালানের রুট প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, চোরাচালানের রুট পরিবর্তিত হয়ে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দা দেশের সবখানে কাজ করে যাচ্ছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ এখন আর আগের অবস্থায় নেই। আমরা কোনো আসামি ধরে আদালতে দিলে আদালতও তাদের সহজে জামিন দিচ্ছেন না। ফলে, কিছুদিন ধরে যে সব আসামিদের ধরা হচ্ছে, তাদের কেউই জামিন পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
জেডএফ/এবি