ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিত্যপণ্যের দাম চড়া

বিবিএস তথ্যে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমূখী!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫
বিবিএস তথ্যে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমূখী! ফাইল ফটো

ঢাকা: কাঁচা মরিচ, সবজি, পেঁয়াজসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া হলেও মাসওয়ারী জুলাই থেকে আগস্ট মাসে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে
মূল্যস্ফীতির হার কম দেখালো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বিবিএস’র দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে প্রকাশ করা হয়।

বিবিএস তাদের হালনাগাদ তথ্যে জানায়, মোটা চালের দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমূখী হয়েছে। জুলাই মাসে মোটা চালের কেজি ছিল  ৩৮ টাকা, আগস্টে কমে হয়েছে ৩৭ টাকা।

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে,  মাসিক ভিত্তিতে জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আগস্ট মাসে কমে হয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এছাড়া, বিবিএস মূল্যস্ফীতির হার সাধারণ, খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত তিন ভাগে আলাদাভাবে প্রাক্কলন করা হয়। এতে দেখা গেছে, জুলাই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, আগস্ট হয়েছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।

খাদ্য বহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এ খাতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। অন্যদিকে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কম দেখায় বিবিএস।

মিট দ্য প্রেসে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, শুধু কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে মূল্যস্ফীতির হার নির্ণয় করা যায় না। সারা দেশ পানির নিচে। বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম চড়া। ভারতেও কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম। চালের দাম বাড়েনি। যে কারণে মূল্যস্ফীতি ঠিকই আছে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লো। মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মূল্য শহরে বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। ধীরে ধীরে  গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দামে অভ্যাস করতে হবে। আমরা সব কিছু কম দামে জনগণের কাছে সরবরাহ করি বলে বিশ্বব্যাংক আমাদের বকাবকি করে। আমরা যে দামে গ্যাস-বিদ্যুৎ দিচ্ছি এতো কম দামে সারা বিশ্বের কেউ দেয় না।

সামনে জ্বালানি তেলের দাম কমবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কম আছে, এটা নিয়ে সরকার ভাবছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে সরকার অনেক ভর্তূকি দিয়েছে। সেটার সামঞ্জস্য করার চেষ্টা চলছে।

মিট দ্য প্রেসে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আইএমইডি’র সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার, বিবিএসের সচিব কানিজ ফাতেমা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, আরাস্তু খান, হুমায়ুন খালিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।