ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লিন্ডসে’র বয়স ৯০ বছর

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
লিন্ডসে’র বয়স ৯০ বছর ছবি: কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ডেমরা থেকে ফিরে: লিন্ডসে। ৯০ বছর পেরিয়ে পা দিয়েছে ৯১’এ।

২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে দিব্যি। এ নামটি শুনলে বৃটিশ কোনো নাগরিকের মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠতেই পারে। কিন্তু লিন্ডসে কোনো মানুষের নাম নয়, এটি একটি জুট মিলের মেশিনের নাম। যার দেখা মিললো ডেমরার লতিফ বাওয়ানী।

পাট ক্যালেন্ডারিং করার সময় এ মেশিন ব্যবহৃত হয়। ঠিক এমই একটি ক্যালেন্ডারিং মেশিন লিন্ডসে।

১৯৫৩ সালে রাজধানীর ডেমরায় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে লিন্ডসের স্থাপন করা হয়। তবে মেশিনটি তৈরি হয় ১৯২৪ সালে। মেশিনটির গায়েই প্রস্তুতের তারিখ খোদাই করে  লেখা আছে।

এতো পুরনো মেশিন দিয়ে কিভাবে কাজ করা সম্ভব সে বিষয়ে মনে প্রশ্ন থাকতে পারে অনেকেরই। এসব নিয়ে কথা হয় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের প্রডাকশন ম্যানেজার রেজাউল কমিমের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই মেশিন অনেক পুরনো। আর মিলতো পাকিস্তান আমলে হয়েছিলো। তাই মেশিনটির সব ডাটা নেই। ১৯৫৩ সালে যখন মিলটি চালু হয় তখন থেকেই এটি এই কারখানায় আনা হয়।

তবে লিন্ডসে মেশিনটিতে এখন প্রায়ই যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয় বলে জানান প্রডাকশন ম্যানেজার। আর তখন নির্ভর করতে হয় মেরামতের ওপর।

পুরনো মেশিনে কাজ করতে জটিলতা তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন মিলের শ্রমিকরা। বলেন, পুরানো মেশিন। সমস্যাতো হবেই। প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। আবার মেরামত করে কাজ চাল‍ানো হয়। যেহেতু নতুন মেশিন নেই পুরাতন মেশিন দিয়েই কাজ চালাতে হয়।

শুধু লিন্ডসেই নয় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের বেশির ভাগ মেশিনই স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে কেনা বলে জানিয়েছেন কারখানাটি প্রশাসন বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি বাংলানিজকে বলেন, শুধু লতিফ বাওয়ানী জুট মিলই নয় দেশের বেশির ভাগ জুট মিলই চলছে পুরাতন মেশিনের ওপর নির্ভর করে। প্রযুক্তি এগিয়ে গেলেও এসব মিলের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। জুট মিলগুলোর ৯০ শতাংশ ভারী যন্ত্রপাতি স্বাধীনতার আগের কেনা। স্বাধীনতার পরে যে ধরনের যন্ত্রপাতি জুট মিলে দরকার ছিল তা কর্তৃপক্ষ কেনেনি। ফলে উৎপাদনও আশানুরূপ বাড়ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
ইউএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।