ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

ঢাকা: আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে।

মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রণালয়ে পে-স্কেল পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকেদর তিনি এ কথা বলেন।



মুহিত বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়মটি নিজেরা তৈরি করে নিয়েছেন। তাই তাদের পদোন্নতি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। পে-স্কেলে কী আছে, তারা সেটা না বুঝেই আন্দোলন করছেন। তারা সবাই অধ্যাপক হতে চান, তাদের দুনীতির এ চর্চা বন্ধ করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ ধরনের কর্ম বিরতি যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকদের এ ধরনের ব্যবহার অত্যন্ত দুঃখজনক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই বলা হয় সরকারি চাকুরেদের বেতন কম, তাই তারা ঘুষ খান। এটাও ঠিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভালো বেতন না পাওয়ায় দুর্নীতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিলো। নতুন এই পে-স্কেল দেওয়ায় এখন অনেকটা কমে যাবে।
মুহিত বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় দুর্নীতি করে। সেটা কোনো দিনই বন্ধ হবে না। তবে এদের দুর্নীতি বন্ধ করতে জনগণের মতামত নিতে হবে। কারণ টাকাটা জনগণই দেয়।

সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ার সম্ভাবনা নেই। যদি বাড়ে সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি করেছিলো। আমরা তার বাস্তবায়ন করেছি। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের সঙ্গে তুলনা করলে পে-স্কেলই গ্রহণযোগ্য হবে। পরবর্তীতে কেউ ক্ষমতায় এসে না মানলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।
মুহিত বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কোনো পে-স্কেল হবে না। পে-স্কেলে কোনো পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজন দরকার হলে একজন কর্মকর্তারা নিয়োগ করা হবে। তিনি প্রতি বছর মন্ত্রিপরিষদে রিপোর্ট করবেন। আর সেই রিপোর্টের আলোকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবশেষে যুগান্তকারী এ পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এদিকে, মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্ম বিরতি শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫ (আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা)
এসই/টিআই


** পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।