ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়া কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক দেবে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
চামড়া কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক দেবে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা

ঢাকা: কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা ঋণ দেবে। সম্প্রতি সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঈদুল আযহার চামড়া কিনতে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।


 
কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যাতে নতুন করে ঋণ না পায় সেজন্য কঠোর নজরদারি করছে ব্যাংকগুলো। বিগত সময়ে যারা ঋণ নিয়ে সময়মতো ফেরত দিয়েছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে গ্রাহককে যাচাই বাছাই করারও নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক এ বছর প্রায় দুইশ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে তিনজন নতুন গ্রহীতাকে দেওয়া হবে ৭৩ কোটি টাকা। এ খাতে সোনালীর বকেয়া ঋণ আছে ১শ’ ২২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সোনালীর ঋণের পরিমাণ ১শ’ ৯৫ কোটি টাকা।
 
জনতা ব্যাংক ২শ‘ ৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২শ’ ৩০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদনও করেছেন গ্রাহকরা। বুধবারের মধ্যে চূড়ান্ত করবে বিতরণ প্রক্রিয়া।
 
অগ্রণী ব্যাংক ১শ’ ২০ কোটি, রূপালী ব্যাংক ৮৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে। রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ৬৫০ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকগুলো দিয়েছিল সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা।
 
এছাড়া চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক ও দি সিটি ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে।
 
কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক এবার ব্যবসায়ীদের প্রায় ৬৫০  কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে। গত বছর এই ব্যাংকগুলো এই খাতে ঋণ দিয়েছিল প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা।
 
তবে এসব ব্যাংকের বাইরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক এই খাতে শাখা পর্যায় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে।
 
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গতবার আমরা চামড়া কিনতে ঋণ দিয়েছিলাম ৫০ কোটি টাকা। এবার দেওয়া হবে ৮৪ কোটি টাকা। এ খাতের ঋণ আদায় সন্তোষজনক হওয়ায় আমরা এ বছর আরও ৩৪কোটি টাকা বেশি ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্যানারি শিল্পের চাহিদার অধিকাংশ চামড়ার সরবরাহ করা হয় কোরবানির পশুর চামড়া থেকে। এ সময় সারাদেশের ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে ব্যাপক বিনিয়োগের চেষ্টা করেন। অনেকেই দ্বারস্ত হন ব্যাংকের।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।