ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাউশিয়া গার্মেন্টসপল্লী

কর্মসংস্থান হবে আড়াই লাখ মানুষের

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
কর্মসংস্থান হবে আড়াই লাখ মানুষের

ঢাকা: বাংলাদেশের বিজিএমইএ’র সহযোগিতায় চীন মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়ায় গার্মেন্টসপল্লী নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
 
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি (সিঅ্যান্ডএম) ইঞ্জিনিয়ার মু. সামসুল হক সোমবার (২৩ নভেম্বর) তার অফিসে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঢাকার অদূরে এ গার্মেন্টসপল্লী নির্মাণে সব ব্যয়ভার বহন করবে চীন।
 
তিনি বলেন, বাউশিয়ায় ৪৯২ একর জমিতে এ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই দশমিক তিন (২.৩) বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৮ হাজার কোটি টাকা। তৈরি পোশাক রফতনিতে বিশ্বে বাংলাদেশ বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।   চীন রয়েছে প্রথম স্থানে। রফতানিতে চীন প্রথম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পোশাক তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে।  

সামসুল হক জানান, গত বছরের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেন। ওই সময় বাংলাদেশে তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পপার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিজিএমইএ এবং চীনের ওরিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির প্রতিনিধি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।  

চীনা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বাউশিয়ায় স্থান পরিদর্শনসহ সব কিছু যাচাই-বাছাই করে গেছেন। পরিবেশের যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য চীন এক কোটি ২০ লাখ টাকায় সিগমা ইকুয়েপমেন্ট নামে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি নিয়োগ করেছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রও মিলেছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টসপল্লী নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা (২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এর মধ্যে বাউশিয়ায় ৪৯২ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষে এ গার্মেন্টস শিল্পপার্কে প্রায় পাঁচশ’ তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থানের সুযাগ ঘটবে দেশের আড়াই লাখ মানুষের।   এখান থেকে বছরে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার তৈরি পোশাক রফতানি করার সুযোগ ঘটবে।

গার্মেন্টসপল্লী নির্মাণের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর উভয় দেশের মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একশ’ পৃষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছে। এ যাচাই রিপোর্টটি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে হস্তান্তরও করা হয়েছে।

বাংলাদেশে এটি হবে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।   সেখানে তৈরি পোশাক কারখানার পাশাপাশি পাঁচ তারকা হোটেল, শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের সুযোগ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পার্কিংসহ সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।