ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী ব্যাংকিং মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী ব্যাংকিং মেলা ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একটি ব্যাংকিং জাতি গড়ার প্রত্যয়ে ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ব্যাংকিং মেলা শনিবার (২৮ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। ৫ দিনে মেলা পরিদর্শন করেছেন অর্ধলক্ষাধিক দর্শনার্থী।



মেলায় প্রদশর্নীর পাশাপাশি প্রতিদিন ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ক্যাম্পেইন এর উপর একটি সেমিনার, আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বির্তক প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া মেলায় ১২টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রাহকের মুখোমুখি হয়ে জবাব দিয়েছেন নানা প্রশ্নের। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাণান্তকর সেবা  এবং সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর উন্মুক্ত গ্রাহক সেবা মেলাটিকে অন্যতম উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যার মাধ্যমে ব্যাংকার ও গ্রাহকদের মাঝে সেতুবন্ধন ও স্বপ্নপূরণের বাসনা তৈরি হয়েছে।

মেলায় সন্তোষজনক তৎপরতার জন্য ব্যাংক এশিয়া, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বিডিবিএল ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য শিওর ক্যাশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্সকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়াও স্পন্সর হিসেবে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক, আইকন ইনফো, পিপলস রেডিওকেও সম্মাননা দেয়া হয়েছে।   

মেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়াও দেশি-বিদেশি ৫৬টি ব্যাংক, ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৭টি আর্থিক সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। মেলা উপলক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন চালু করা নানা রকম সঞ্চয় স্কিম ও ঋণ প্রকল্প দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরেন। অনেক ব্যাংক সুযোগ দিয়েছে বিনামূল্যে হিসাব খোলারও।

দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত এই মেলায় এবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও আগামীবার থেকে উপচে পড়া ভিড় থাকবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আশা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে সমাপনী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঋণের অতিরিক্ত সুদের কারণে দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে না। ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের কম হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, সুদের হার না কমলে মানুষ কিভাবে ব্যবসা করবেন? এসএমই ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে। পোল্ট্রি চাষ, মৎস্য চাষ এত উচ্চ হারে সুদ দিয়ে করা সম্ভব না।

ব্যাংক মালিকদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যাংকের উচিত শুধু মুনাফা করা না, মানুষের সেবা করাও। ব্যাংক মালিকদের উচিত সিএসআর কার্যক্রমে আরও বেশি অংশগ্রহণ করা।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আগামীতেও এ ধরনের মেলা আয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এছাড়া প্রতিবছর ব্যাংকিং মেলা আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি বিভাগীয়  শহরগুলোতে অনুরূপ ব্যাংকিং মেলার আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল। তিনি বলেন, ব্যাংকিং মেলা আমাদের স্বপ্ন পূরণের অফুরন্ত বাসনা তৈরি করেছে। মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে নব জাগরণ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে মুনাফা করার পাশাপাশি মানবিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার প্রয়াস পেয়েছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এসই/আরআই

** কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধিতে বাধা উচ্চ সুদ হার
** ওয়ান ব্যাংকের ‘কুইক মিলিওনিয়ার’ অফার
** বিডিবিএলে ১০ লাখ টাকার পারসোনাল লোন
** ব্যাংক মেলায় কথা বললেন সফল চাষিরা
** ব্যাংকিং মেলায় দর্শক মাতালেন কুদ্দুস বয়াতি
** সমাপনী সংবাদ সম্মেলন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।