ঢাকা: স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে (অটোমেটিক) ভবন বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগুন নেভাতে তৈরি হয়েছে ‘ফায়ার স্পিংলার সিস্টেম’।
মালয়েশিয়ার এ প্রযুক্তি কোনো ভবনে স্থাপন করা হলে, সেখানে ৬৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলেই অটোমেটিক স্পিংলার হেড ফেটে যাবে।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলানিজকে এ তথ্য জানান আল-আমিন ট্রেড সিন্ডিকেটের (এটিএস) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) তৌফিক আহমেদ খান।
বিআইসিসিতে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপো ফর বিল্ডিং অ্যান্ড সেফটি’ প্রদর্শনী।
ভবন বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগুন নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় কলাকৌশল, যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামের সমাহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এ প্রদর্শনীতে স্টল বসিয়েছে এটিএস।
স্টলে বাংলানিউজের কথা হয় এটিএস'র ডিএমডি তৌফিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তাপমাত্রা সাধারণত ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকে না। তাই কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে ৬৮ ডিগ্রি তাপমাত্র হয়না। এজন্য দুর্ঘটনা ছাড়া স্পিংলার হেড ফাটার সম্ভাবনা নেই।
তিনি জানান, ফায়ার স্পিংলার সিস্টেম প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে মালয়েশিয়ার এসআরআই ব্র্যান্ড।
তৌফিক জানান, অটোমেটিক আগুন নেভানো প্রযুক্তি ছাড়াও তাদের রয়েছে ফায়ার হাইডেন সিস্টেম। যা পানির লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এটি ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি আগুন নেভাতে হয়।
এটিএস'র রয়েছে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম। যা কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সংকেত দেবে। কোথাও সামান্য পরিমাণ ধোঁয়া হলেই প্যানেল বোর্ড স্বংয়ক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেবে ঘটনাস্থল।
কেউ চাইলে এর সঙ্গে সিসি ক্যামেরাও লাগাতে পারবেন। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে অন্যকক্ষ থেকেই প্যানেল বোর্ডের মাধ্যমে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা যাবে, বলেন তৌফিক।
তিনি আরও বলেন, আগুন নেভানোর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হাইডেন সিস্টেম। এটি করতে ৩টি পাম্প লাগে। এটিএস'র একটি পাম্প ৯০ থেকে ১ হাজার মিটার পর্যন্ত অঞ্চল কাভার করতে পারে।
জার্মানির উইলো কোম্পানির তৈরি পাম্প এটিএস গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী ভারত, সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেন। গ্রাহক চাইলে সরাসরি জার্মানি থেকেও পাম্প আমদানি করা হয়, বলেন তৌফিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এএসএস/জেডএস