ঢাকা: অষ্টম বেতন স্কেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মর্যাদার অবনমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
তাই অবিলম্বে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী।
এতে বলা হয়, এ বৈষম্য দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য আলাদা বেতন স্কেল, সর্বোচ্চ পদ নির্বাহী পরিচালককে গ্রেড-১ এবং যোগদান পদ সহকারী পরিচালককে ৮ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়েছে।
মো. শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রয়েছে। অথচ গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
‘বাংলাদেশ ব্যাংককে কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সম মর্যাদায় ফেলা হয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকাকে খাটো করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, জাতীয় পে-স্কেলে কোন প্রতিষ্ঠানে ১০০জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার বিপরীতে একজন করে গ্রেড-১ কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩ হাজার প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু সর্বোচ্চ প্রমোশনাল পদ নির্বাহী পরিচালককে গ্রেড-২ করা হয়েছে।
আগে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিসিএস ক্যাডার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মতো প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পেতেন। এখন অন্যদের অষ্টম গ্রেডে ধরা হলেও সহকারী পরিচালক পদকে নবম গ্রেডে রাখা হয়েছে।
‘এসব দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে,’ হুঁশিয়ারি দেন শাহরিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান মোল্লা জানান, এসব দাবি আদায়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে অবনমনের প্রতিবাদে ২৭ ডিসেম্বর থেকে ক্যালোব্যাজ ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসই/ওএইচ/এমএ