ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে তিনগুণ কম আলু উৎপাদিত হয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
বাংলাদেশে তিনগুণ কম আলু উৎপাদিত হয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দিনদিন দেশে আলুর উৎপাদন বেড়েই চলেছে। আলু উৎপাদনে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বড় ধরনের সফলতাও পেয়েছে।

কিন্তু আলু উৎপাদন প্রধান অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে আলু উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
 
আলু উৎপাদন প্রধান দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশে হেক্টর প্রতি প্রায় তিনগুণ কম হারে আলু উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে উৎপাদিত পরিমাণের চেয়ে ১০ মেট্রিক টন বাড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে দরকার গুণগত ও মানসম্মত বীজ।
 
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে আলু রফতানি: বর্তমান ও ভবিষ্যত শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য জানানো হয়।
 
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রোমনি বিভাগের প্রফেসর ড. তুহিন শুভ্রা রায় এ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
 
আলু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিইএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
 
তুহিন শুভ্রা রায় বলেন, বাংলাদেশে গড়ে হেক্টরপ্রতি ১৯ দশমিক ৩৭ টন আলু উৎপাদিত হয়। পক্ষান্তরে অন্যান্য আলু উৎপাদন প্রধান দেশে গড়ে হেক্টরপ্রতি গড়ে প্রায় ৬০ টনের মতো উৎপাদিত হয়।
 
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, নিউজিল্যান্ডে গড়ে হেক্টর প্রতি ৫৪ টন আলু উৎপাদিত হয়। তবে অন্যান্য দেশে ১৮০ দিনে আলুর ফলন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ৮০ থেকে ৯০ দিনে উৎপাদিত হয়।
 
প্রবন্ধকার বলেন, আমরা যদি গুণগত ও মানসম্মত বীজ সরবরাহ করতে পারি, তাহলে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১০ টন আলু বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। আর ফলন বাড়লে রফতানির বাজারও আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য  কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের মাধ্যমে উৎপাদনে যেতে হবে।
 
প্রবন্ধে জানানো হয়, সারাদেশের মধ্য সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদিত হয় মুন্সীগঞ্জে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর।
 
কর্মশালার প্রথম সেশনে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে গত কয়েক বছরের আলুর রফতানির আয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯২ মার্কিন ডলার আয় হয়। তা বেড়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৩১ হাজার ৯১২ ডলারে উন্নীতি হয়েছে।
 
বিপিইএ’র এর সভাপতি ড. শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে কর্মশালার প্রথম সেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এবং বিপিসি কো-অর্ডিনেটর এবং যুগ্ম সচিব ফকির ফিরোজ আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
একে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।