ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ও লোকসানি শাখা কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে এ তাগিদ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে ও নজরদারি বাড়াতে ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
চুক্তি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান। এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী. রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জানানো হয়, চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে চার ব্যাংকের খেলাপী ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।
এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৭ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৪ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা খেলাপী ঋণ রয়েছে।
আরও জানানো হয়, চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ২০১৫ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৬৬৩ কোটি টাকা, ও রূপালী ব্যাংকের ৩৭৪ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বরের হিসাবে এই ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়াও ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা বেড়েছে। সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা সবচেয়ে বেশি ১৩০টি। জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের ৭২টি করে এবং রূপালী ব্যাংকের ১৯টি লোকসানি শাখা রয়েছে। লোকসানি শাখা কমানোর কথা থাকলেও ব্যাংকগুলোর তা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এই বৈঠক ডাকা হয়। এতে ব্যাংকর খেলাপি ঋণ ও লোকসানি শাখা কমিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসই/জেডএম