ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্ষতিকর বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রামের অবস্থান কমছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
ক্ষতিকর বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রামের অবস্থান কমছে ছবি: রানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্বের এক শ’ ক্ষতিকর বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান কমে আসছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বারভিডা কার এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।



বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোটার অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) তৃতীয় বারের মতো তিন দিনব্যাপী এক্সপো’র আয়োজন করছে।

গাড়ির সর্ববৃহৎ এ এক্সপোতে মিড়িয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসহ কয়েকটি গণমাধ্যম।

শাজাহান খান আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্বের এক শ’ ক্ষতিকর বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম।

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় ২০১৪ সালে বন্দরের অবস্থান ৮৬তে নেমে এসেছে। এ বছর অবস্থান হচ্ছে ৭৬তম। এর পেছনে গাড়ি ব্যবসায়ীসহ সব ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

মংলা বন্দর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যে মংলা বন্দর চারদলীয় জোট সরকারের সময় সাড়ে ১১ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকশান গুনেছে সে বন্দর ২০১৪ সালে ৬০ কোটি টাকা লাভ করেছে।

“বারভিডার ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা না করলে মংলা বন্দর এত দ্রুত লাভজনক অবস্থায় আসত না। বন্দরে আমদানি-রফতানি বাড়তো না। বাংলাদেশ যে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে যে পরিণত হয়েছে তা ঢাকা শহরের দিকে তাকালে বোঝা যায়। বাস চোখে পড়ে না, চোখে পড়ে প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাস”।

গাড়ি বৃদ্ধিতে যানজট সমস্যা বাড়ছে। তবে ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেল হয়ে গেলে যানজট কমে যাবে। আর গাড়ি বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলেও জানান শাজাহান খান।

গাড়ি আজ বিলাসিতা নয়, প্রয়োজনীয় জিনিস। আগে রাস্তায় বেবি ট্যাক্সি, অটোরিকশা দেখা যেত। তা কমে যাচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে রিকন্ডিশন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, বলেন শাজাহান খান।

বিশেষ ‍অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন নতুন ও হাইব্রিড গাড়িতে শুল্ক বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে অনুমতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারে হাইব্রিড গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও গত দেড় বছরে জাপানি রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির অনুমতি দেয়নি। এ গাড়ি ব্যাটারি ও ডিজেলে চলে। পরিবেশবান্ধব।

চট্টগ্রাম বন্দরের ভাড়া কমিয়ে আনা, রিকন্ডিশন গাড়ি ও নতুন গাড়িতে শুল্ক বৈষম্য দূর করলে আরও সুলভ মূল্যে ক্রেতাকে গাড়ি দেওয়া যাবে, যোগ করেন ডন।

অনুষ্ঠানে বারভিডার প্রথম সভাপতি আব্দুল হক, বর্তমান সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কার এক্সপো বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এ বি এম আনিসুজ্জামান পিনু, মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

** আইসিসিবিতে ৩ দিনব্যাপী বারভিডা কার এক্সপো শুরু

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬/আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা.

আরইউ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।