ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের বাজারে পোশাকের অব্যাহত দরপতন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের বাজারে পোশাকের অব্যাহত দরপতন ছবি: রানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের দরপতন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ -এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিজিএমইএ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।



সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্টের আলোকে তৈরি পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সম্প্রতি প্রধান দু’টি রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে আমাদের পণ্যের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। ‘বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের কারখানা ভবনের নিরাপত্তা সংস্কার ও মজুরিসহ অন্যান্য খাতে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বেড়ে গেছে। এছাড়া কারেকশন অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপি) বাস্তবায়নে প্রতি কারখানাকে গড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য কষ্টকর। আর আমাদের বেশির ভাগ শিল্প কারখানাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি,’ বলেন সিদ্দিকুর রহমান।  

বিদেশি ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরীন দুর্ঘটনার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, আপনারা আমাদের পোশাকের ন্যায্যমূল্য দিন।

‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাকখাতে অভূতপূর্ব পুনর্গঠন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২০টি কারখানা গ্রিন হয়েছে, আরও ১০০টি এর অপেক্ষায় আছে। আর সেগুলোও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে হবে। তা না হলে সনদ পাওয়া যাবে না। আমাদের এই অগ্রগতি চলমান, থেমে থাকবে না,’ বলেন তিনি।

সিদ্দিকুর রহমান জানান, বর্হিবিশ্বে আমাদের পোশাকের অর্ডার বেড়েছে। ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শুধু নিরাপদ কর্মপরিবেশই রচনা করছি না-পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিল্প গড়ে তুলছি।

‘বাংলাদেশ সরকার, অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স, আইএলওসহ সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। কারখানা নিরাপত্ত্বা প্রশ্নে বিজিএমইএ জিরো টলারেন্স পলিসি অনুসরণ করছে,’ উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

‘বাংলাদেশ সব জায়গায় প্রশংসিত হচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, জি-৭ এর সভাতেও বলা হয়েছে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ প্রত্যাশার অধিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিজিএমইএ-এর ফায়ার সেফটি সেল এ পর্যন্ত এক লাখ ৩ হাজার ৬৮ জন শ্রমিক ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া একটি ক্র্যাশ কর্মসূচির আওতায় ২০ হাজার ১৮৮জন মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা অগ্নি বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

‘পোশাক খাতে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল’ এমন মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানো, বিশ্ব বাজারে হৃতগৌরব ফিরে পাওয়ার পেছনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বলিষ্ঠ গতিশীল পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিকেএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬, আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা
এমআইএস/ওএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।