ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকা: উৎপাদিত বিদ্যুতের বিতরণ ব্যবস্থা উন্নীত করতে নতুন নতুন উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় এগুলো নির্মিত হবে।


 
পিজিসিবি সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা পূরণ, লোডশেডিং কমানো এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করছে পিজিসিবি।
 
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে গিয়ে বিদ্যমান উপকেন্দ্রগুলো ওভারলোড হয়ে যাবে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানের(পিএসএমপি) ওভারলোডেড উপকেন্দ্রগুলোর লোড কমাতে তাই নতুন নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
পিজিসিবি সূত্র জানায়, ‘গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ২ হাজার ৯৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ২৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
বিদ্যুৎ সিস্টেমের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ চাহিদার পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে পিজিসিবি। জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে জার্মানি ১৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ এবং ২ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে।
 
পিজিসিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুম আল-বেরুনী বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালন সিস্টেম উন্নয়নের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিছু উপকেন্দ্র পুরনো হয়ে গেছে। তাই নতুন নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে পুরনো উপকেন্দ্রগুলোরও পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংস্কারের প্রয়োজন।
 

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির আওতায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নতুন নতুন উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ করা হবে। পুরনোগুলোর সক্ষমতাও বাড়ানো হবে। সারা দেশেই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতি করবো’।
 
ঢাকা বিভাগের ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রাজবাড়ী, সিলেট বিভাগের সিলেট, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জ, খুলনা বিভাগের খুলনা, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা, বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
 
প্রকল্পের আওতায়‍ ৮২ কিলোমিটার ২৩০ কেভি সঞ্চালন ডাবল সার্কিট লাইন, ৯৫ কিলোমিটার ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন, ৪৬ কিলোমিটার ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের দ্বিতীয় সার্কিট স্ট্রিং গিং ও ১৫০ কিলোমিটার ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন রি-কন্ডাস্টারিং করা হবে। ১৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ইন-আউট লাইনের নির্মাণও প্রকল্পের আওতাভুক্ত। ফলে ২৩০ কেভি ও ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন সিস্টেমের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহে নির্ভরযোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়বে।
 
নতুন করে ১৭টি উপকেন্দ্র নির্মাণ ও ১৫টি বিদ্যমান উপকেন্দ্রের বে-সম্প্রসারণও করা হবে প্রকল্পটির আওতায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।