ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জ্বালানি উৎপাদনের খরচ ২১ শতাংশ কমানো সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জ্বালানি উৎপাদনের খরচ ২১ শতাংশ কমানো সম্ভব বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দি এনার্জি এফিশিয়েন্ট প্রকল্প’র সিনিয়র উপদেষ্টা স্টেফান এনভোল্ডসেন বলেছেন, জ্বালানির দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো ১৬ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানির ব্যবহার কমাতে পারে, পাশাপাশি জ্বালানির খরচ ২১ শতাংশ এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন ১৮ শতাংশ কমানো সম্ভব।

ডানিডা এবং নরডিক চেম্বার যৌথভাবে পরিচালিত জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তিনি বলেন,  এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া ৩৬টি কারখানার তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বার্ষিক গড়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার করে মোট ৫২ লাখ ডলারের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব।


 
ডানিডা’র অর্থায়নে পরিচালিত দি এনার্জি এফিশিয়েন্ট প্রকল্প’র সহায়তায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত “বাংলাদেশ: শিল্পখাতে জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা উন্নয়নে সুযোগ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২২ অক্টোবর)  রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্ক-এর রাষ্ট্রদূত মিকায়েন হেমনিটি উইন্থরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল, তৈরি পোষাক, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক এবং সারসহ অন্যান্য খাতের শিল্প-কারখানাগুলোতে চাহিদা মোতাবেক জ্বালানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, কম খরচে পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি টেকসইযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সরকারকে একটি দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।  

নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এনসিসিআই) সভাপতি শামীম উল হক বলেন, ব্যবসায় দীঘস্থায়িত্ব ও মুনাফা নিশ্চিতের জন্য দক্ষ জ্বালানি ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।

মুক্ত আলোচনায় ডেনমার্ক-এর রাষ্ট্রদূত মিকায়েন হেমনিটি উইন্থরা, বাংলাদেশর রয়েল ডেনিশ দূতাবাসের বাণিজ্য উপদেষ্টা সরেন রোবেনহেগেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ সভাপতি খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী এফসিএ, পরিচালক সেলিম আকতার খান, সাবেক সভাপতি রাশেদ মাকসুদ খান, সাবেক সহ সভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী, সাবেক পরিচালক দাতা মাগফুর অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর: ২৩, ২০১৬
এসই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।