ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের ধর্মঘট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের ধর্মঘট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রমিকদের দাবি ন্যায্য মজুরি দাবিতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ইয়ার্ড শ্রমিকরা।

লালমনিরহাট: শ্রমিকদের দাবি ন্যায্য মজুরি দাবিতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ইয়ার্ড শ্রমিকরা।

শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

 

এতে আমদানি-রফতানি করা পণ্যবোঝাই কয়েকশ ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে এবং রাস্তার দুইধারে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে।  

বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ছফর উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঠিকারদারি প্রতিষ্ঠান ড্রাপ কমিনিউকেশন লিমিটেটের পার্টনা ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রহুল আমীন বাবুল সরকারের কাছে প্রতি টন পণ্য লোড ২৭ টাকা ৯৫ পয়সা ও আনলোড ২৭ টাকা ৯০ পয়সা নিচ্ছেন। অথচ তাদের প্রতি টন পণ্য লোড ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং আনলোড ১৫ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘ন্যায্য মূল্যে প্রতি টন লোড ২৫ টাকা ও আনলোড ২৫ টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন। তবে, এ ন্যায্য মজুরি আদায়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তিনি। ’

বুড়িমারি স্থলবন্দরের শ্রমিক হ্যান্ডলিং ও বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফল কাঁচা পণ্য হিসেবে শনিবার আমরা লোড-আনলোড করেছি। ন্যায্য মজুরির ব্যাপারে সুরহা না হওয়া পর্যন্ত কাঁচা পণ্যই নয়, কোনো পণ্যই লোড-আনলোড করা হবে না। ’ 

বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী কয়েকজন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী জানান, তারা সরকারকে প্রতি টন পণ্য লোড ৪৭ টাকা ১৬ পয়সা এবং আনলোড ৪৭ টাকা ১৬ পয়সা পরিশোধ করেছেন। তাহলে ঠিকাদারের কারণে এ নিয়ে কেন শ্রমিকরা আন্দোলন করবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ বিনষ্ট করবে।  

বিষয়টি দ্রুত সরকারিভাবে সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

ভারতের ট্রাক চালক সুনীল রায় বলেন, ‘পণ্য বোঝাই গাড়ি ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে থাকায় তারা গাড়িগুলো লোড-আনলোড করছেন না। ফলে, আমরা বিপাকে পড়েছি। ’ 

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ডিডি) মামুন কবীর তরফদার শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশনের পার্টনারশিপ রুহুল আমীন বাবুল সাহেবকে প্রতি টন পণ্য লোড ২৭ টাকা ৯৫ পয়সা ও আনলোড ২৭ টাকা ৯০ পয়সা দিচ্ছি। তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন। শুনেছি প্রতিটন লোড ১৫ টাকা ৫০ পয়সা ও আনলোড ১৫ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছেন। পণ্য লোড ও আনলোড বন্ধ থাকায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।  

এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারী কমিশনার রিজভী আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ জন্য দ্রুত সমস্যা সমাধান করার দাবি জানান তিনি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশনের পার্টনারশিপ ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
পিসি/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।