ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইন না মানলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
আইন না মানলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে মামলা ছবি: সুমন শেখ

শ্রম আইন না মেনে অডিট রিপোর্ট জমা দিলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (সিএ) বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

ঢাকা: শ্রম আইন না মেনে অডিট রিপোর্ট জমা দিলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (সিএ) বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী উদ্যোগ কেন্দ্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তা করছে না। তাদের অডিট রিপোর্ট জমা দেয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা (সিএ)। আমি সিএ’দের সাফ জানিয়ে দিয়েছি যেসব প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী মুনাফার ভাগ শ্রমিকদের না দেবে তাদের অডিট রিপোর্ট দিলে সিএ’দের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে মারা গেলে নগদ ৩ ল‍াখ টাকা দেওয়া হবে। তাছাড়া আরও দেয়া হবে ২ লাখ টাকা। কোনো গার্মেন্টস শ্রমিকের সন্তান মেধাবী হলে তাদের পড়ালেখার জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। এক লাখ অনানুষ্ঠানিক শ্রমিককে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা হবে।

শ্রমিকরা তাদের বর্ধিত বেতন ভোগ করতে পারে না। কারণ, বেতন বাড়ার সাথে সাথে বাড়ি ভাড়া বেড়ে যায়। এর ফলে বর্ধিত বেতনের বেশিরভাগই যায় বাড়িওয়ালার পকেটে। সিভিল ফরমের মামলা চলে বছরের পর বছর। শ্রমিক নেতারা মূল জায়গায় হাত দেন না। শ্রম আদালতে মামলার ক্ষেত্রে শ্রমিকরা মালিকদের সাথে পেরে উঠে না, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নারী শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমেটরি করা হচ্ছে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ৬ তলা ভবন বিশিষ্ট দুটি ডরমেটরি করা হচ্ছে। এখানে ২ হাজার নারী শ্রমিক থাকতে পারবেন।

মেয়েরা ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করলে তা বিশেষ ব্যবস্থায় দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

নারী উদ্যোগ কেন্দ্র ১৩টি কারখানায় কমপ্লায়েন্স ডেভলাপমেন্টের কাজ করে কারখানাকে ক্রেতাদের উপযুক্ত কারখানা হিসেবে নিশ্চিত করেছে বলে জানায় আয়োজক সংগঠনটি।

এছাড়াও বায়ারদের পক্ষ থেকে ১৫০টি অডিট সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানায় নারী উদ্যোগ কেন্দ্র। কমপ্লায়েন্স মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ৬টি কারখানায় প্রতি বছর প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
ইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।