ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন নিতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
‘সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন নিতে হবে’ এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান

ঢাকা: ই-টিআইএন নিবন্ধন ইতোমধ্যে ২৬ লাখ ২৬ হাজার পেরিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন (ইলেকট্রনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) নিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব সুরক্ষা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ক্যাব, আইপিএবি, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, যৌথ মূলধনী কোম্পানিসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
 
ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে যারা ক্ষুদ্র ঋণ নেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের ক্ষেত্রে ই-টিআইএন নেওয়ার বিধান শিথিল করার অনুরোধ জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ আহম্মদ আলী।
 
জবাবে চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে নয়। তবে অর্থনেতিকভাবে সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন নিতে হবে।
 
উন্নয়ন সহযোগীদের কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা রাজস্বের ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করার কথা। তারা এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা ইতোমধ্যে এর রহস্য উদঘাটন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 
রাজস্ব ফাঁকি রোধ নিচ্ছিদ্র করতে চাই, উল্লেখ করে তিনি বলেন, যৌথ মূলধনী অনেক কোম্পানি রয়েছে কিন্তু তাদের অল্প সংখ্যক রাজস্ব দেয় এটা উদ্বেগের বিষয়। কোম্পানির মধ্যে যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তা রোধ নিচ্ছিদ্র করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করছে।
 
এনবিআর ভোক্তাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এনবিআরের ব্যবসাবান্ধব, জনবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব ও রাজস্ববান্ধব যে চরিত্র সে চরিত্র সমুন্নত করা হলো। বাংলাদেশে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু করার প্রয়াস চালাচ্ছি যাতে, রাজস্ব সুরক্ষা হয়।
 
জনবান্ধব রাজস্ব বোর্ড গঠন এনবিআরের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, ক্যাব, বেসিস, যৌথ মূলধনী কোম্পানি সবার প্রচেষ্টায় ভোক্তাবান্ধব এনবিআর গঠনে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সবার সহায়তা কামনা করেন তিনি।
 
বিগত কয়েক বছরের বাজেটে এনবিআর ভোক্তাবান্ধব ব্যবস্থা নিয়েছে এজন্য এনবিআরের প্রশংসা করে ক্যাব’র সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা থেকে ব্যবসায়ীরা ভ্যাট নিলেও সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করে। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে ভ্যাট আদায় করতে পারে এনবিআর। যৌথ মূলধনী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পার্টনারশিপ ও ইসিআর ব্যাপক ব্যবহার বাড়ালে ভ্যাট ফাঁকি কমে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্ককর, ভ্যাট বাড়ানো হয়নি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট বসিয়ে জনজীবনে দুঃখ ডেকে না আনার অনুরোধ জানান তিনি। ভ্যাট আদায়ে ভোক্তার সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে ক্যাব সহযোগিতা করবে।
 
বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, এনবিআরের বড় চ্যালেঞ্জ এনবিআর কর্মকর্তাদের ডিজিটাইজ করা। কর্মকর্তারা ডিজিটাইজ না হলে আকাশ থেকে সফটওয়্যার এনেও এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করতে পারবেন না। কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বেসিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। রাজস্ব বোর্ড ডিজিটাল হলে রাজস্ব বাড়বে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল হতে হবে। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার বাড়াতে হবে। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষার জন্য রাজস্ব সহায়তা ও আমদানিকৃত কাঁচামাল ও পণ্যে অধিক হারে শুল্কারোপ করার আহ্বান জানান তিনি।
 
ডায়ালগে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধক (আরজেএসসি) মো. আবদুল হাই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর পরিচালক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, আইপিএবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুর রহমানসহ এনবিআরের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
আরইউ/জেডএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।