ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিসিআই’র নতুন কমিটির সাক্ষাৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিসিআই’র নতুন কমিটির সাক্ষাৎ শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিসিআই’র নতুন কমিটির সাক্ষাৎ। ছবি: মিথুন-বাংলানিউজ

ঢাকা: ভারতে পাটজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে আরোপিত এন্টি-ডাম্পিং ব্যবস্থা সম্পর্কে কলকাতা সফরে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তৃতীয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে অংশ নিতে তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) কলকাতা যাচ্ছেন।

সফরকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীসহ ভারত সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।  

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নতুন কমিটির নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বৈঠকে সিনিয়র শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, ডিসিসিআই এর নতুন সভাপতি আবুল কাসেম খান, সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম এফসিএ, সহ সভাপতি হোসেন এ সিকদারসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে পাট থেকে কাগজ তৈরি, হালাল খাবারের অনুকূলে বিএসটিআই’র হালাল সার্টিফিকেশন, এসএমই উদ্যোক্তাদের ইকোনোমিক জোনে প্লট বরাদ্দ প্রদান, সিঙ্গেল ডিজিটে অর্থায়ন, বিভিন্ন শিল্পখাতে ব্যাক-ওয়াড লিংকেজ স্থাপন, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি হ্রাস, বাইসাইকেল শিল্পখাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে আলোচনা হয়।  

বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের নেতারা বলেন, পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত এন্টি-ডাম্পিং ব্যবস্থার ফলে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার ও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এ বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। তারা এ বিষয়ে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  

ডিসিসিআই এর নেতারা ব্যবসায়ের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।  

তারা বলেন, এর ফলে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। তারা এসএমই শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ, সিঙ্গেল ডিজিট সুদে অর্থায়ন এবং প্যাকেজের আওতায় শুল্ক পরিশোধের বিদ্যমান প্রথা বহাল রাখার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শিল্পমন্ত্রী এসব বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দেন।  

এদিকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের জন্য হালাল খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য রফতানির জন্য বিএসটিআই এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় হালাল সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিসিক শিল্পনগরি এবং নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে প্লট বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি সিঙ্গেল ডিজিট সুদে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।  

পাটের পাল্প থেকে কাগজ তৈরির লক্ষ্যে কাঁচামাল প্রাপ্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
ওএফ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad