ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টিসিবি পণ্যে আগ্রহী ক্রেতা, বরাদ্দ তুলছে না ডিলাররা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
টিসিবি পণ্যে আগ্রহী ক্রেতা, বরাদ্দ তুলছে না ডিলাররা বরিশালে টিসিবি’র পণ্য কেনায় ক্রেতাদের ভিড়/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব‌রিশাল: বরিশালে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর বরাদ্দ তোলায় আগ্রহ নেই ডিলারদের।  সোমবার (১৫ মে) থেকে নগরসহ জেলার সাতটি স্থানে এবং ঝালকাঠিতে দু’টি স্থানে টিসিবি’র পণ্যে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) শুরু হলেও  বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে ডিলারদের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

তবে প্রথম দিনেই বরিশালে ট্রাকসেলে ক্রেতাদের সাড়া পেয়েছেন ডিলাররা। মসুর ডাল ছাড়া টিসিবি’র আর সব পণ্যেরই প্রশংসা করেছেন ক্রেতারা।

বাজারের চেয়ে ১০/১২ টাকা কম মূল্যে টিসিবি’র পণ্যে কিনতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তারা। ত‍াই সামনের দিনগুলোতে আরো বেশী ক্রেতা আশা করছেন ট্রাক সেলের ডিলাররা।

কিন্তু বরিশাল আঞ্চলিক কার‌্যালয়ের  আওতায় বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলাসহ মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলায় কেউই এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ট্রাকসেলের পণ্য সরবরাহ করেনি।

আগামী ১৮ মে পর্যন্ত পণ্য সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও প্রথম দিন সোমবার (১৫ মে) পর্যন্ত ট্রাকসেল ছাড়া ৮ জেলার ১২১ ডিলারের মধ্যে মাত্র ৫ জন বরাদ্দ উত্তোলন করেছেন। তাও কেবল বরিশাল ও ভোলার দু’টি উপজেলায়। বাকি কোনো জেলা কিংবা উপজেলা থেকেও বরাদ্দপত্রই দেয়নি ডিলাররা।

এর ফলে আসন্ন মাহে রমজানে টিসিবি’র ন্যায্য মূল্যের পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মোট ৮টি জেলায় টিসিবি’র নিয়োগপ্রাপ্ত মোট ডিলারের সংখ্যা ১২১ জন। এর মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩৮ জন, বরিশাল জেলায় ২৮ জন, পিরোজপুরে ৩ জন, বরগুনায় ৩ জন, ঝালকাঠিতে ১২ জন, পটুয়াখালীতে ৭ জন, ভোলায় ৯ জন এবং শরিয়াতপুর জেলায় ৮ জন ও মাদারীপুর জেলায় ১৭ জন। এদের মধ্যে রমজান উপলক্ষে দেওয়া প্রথম বরাদ্দ তুলেছেন মাত্র ৫ জন ডিলার।

এবার রমজানে টিসিবি’র ওএমএস থেকে প্রতি কেজি মশুর ডাল ৮০ টাকা, ছোলা বুট ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকা করে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা হাওলাদার মো. মাসুম বাংলানিউজকে জানান, এখনো ডিলাররা না এলেও রোজার ৪ থেকে ৫ দিন আগেই সবাই পণ্য নিয়ে যাবেন। প্রতিদিনই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ডিলাররা। শরিয়তপুর ও বরগুনার ২ জন ডিলার দু’একদিনের মধ্যে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে যারা ট্রাকসেল শুরু করেছেন, কৌশলগত কারণে তাদের দোকানের জন্য পণ্য এখন দেওয়া হচ্ছে না, তবে তারাও কয়েকদিনের মধ্যে প্রথম বরাদ্দ পেয়ে যাবেন।

তিনি আরো জানান, খেজুর ছাড়া যে পরিমাণ মালামাল মজুদ রয়েছে তা দিয়ে পুরো রমজান মাস বরিশাল অঞ্চল কাভার দেওয়া যাবে। পাশাপাশি টিসিবি’র মানসম্মত সব পণ্য বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।