ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

ঢাকা: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্ত ছাড়া কোনো স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো.নজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

নজিবুর রহমান বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্ত ছাড়া স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালানো হবে না।

তাই সাধারণ ও সৎ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এছাড়া এনবিআর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করছে। স্বর্ণ ব্যবসা এদেশে একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্ষেত্রকে আরও যুগপযোগী ও অগ্রসর করতে যাবতীয় ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে সংসদে অর্থমন্ত্রী যুগপযোগী একটি স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন। অচিরেই এই নীতিমালা বাস্তব রূপ লাভ করবে। একই সঙ্গে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুমে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযান এবং চোরাচালানের দায়ে আটককৃত প্রায় ১৫.১৩ মণ স্বর্ন আটক সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এটাকে কেন্দ্র করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই সৎ ও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। এনবিআর সবসময় এসব ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে। শুধু তাই নয়, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি না থাকলে অযথা কোনো প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করা হবে না। আর এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে অন্যকেও যেন আর হয়রানি না করে সেজন্য এনবিআর ব্যবস্থা নেবে।

অন্যদিকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়টি পুণরায় বিবেচনার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কেননা বর্তমানে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন। কিন্তু ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইনটি বাস্তবায়ন হলে তথা ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাবে।   ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেও ব্যবসায়ীরা জানানা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিভাগের সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, লুৎফর রহমান,পারভেজ ইকবাল,শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.মইনুল খান,বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা,সহ-সভাপতি এনামুল হক দোলন,সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেম দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা,জুন ১৩, ২০১৭
এসজে/বিএস  

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।