ঢাকা, রবিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

তরুণ-তরুণীদের ভিড় আজিজ সুপারে

ইলিয়াস সরকার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১০, জুন ১৭, ২০১৭
তরুণ-তরুণীদের ভিড় আজিজ সুপারে ঈদ উদযাপনে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে আজিজ মার্কেটকেই বেছে নিয়েছেন এ তরুণ- ছবি- শাকিল

ঢাকা: বয়স্ক কিংবা ছোটদের তেমন একটা দেখা মেলেনা। উপচেপড়া ভিড় তরুণ-তরুণীদের। বেচাকেনাও জমজমাট। আশানুরূপ দামে তরুণ-তরুণীদের চাহিদা মতো পোশাকও মিলছে।
 

এ অবস্থা দেশীয় রুচিশীল পোশাকের অন্যতম  রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে। শনিবার (১৭ জুন) ২১ রমজানে সরেজমিনে ওই মার্কেটে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।

ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে মূলত ২০ রমজান (শুক্রবার) থেকে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ মার্কেটে মূলত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আলাদা কদর রয়েছে। বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট ও শাড়িই এখানে বেশি বিক্রি হয়। আর এসব পোশাকের দামও মধ্যবিত্তের আওতার মধ্যেই।
 
সর্বনিম্ন ৯শ’ টাকা থেকে ঈদের পাঞ্জাবি এবং ৬শ’ টাকায় মেয়েদের জামা পাওয়া যাচ্ছে কেনাকাটায় সবার পছন্দ আজিজ সুপার মার্কেটে।  

জামা পছন্দ করছেন এ তরুণী
দেখা যায়, ব্যতিক্রমী এ মার্কেটে ক্রেতারা প্রায় সমবয়সী। বয়সে সবাই তরুণ। এমনকি ব্যবসায়ীরাও। ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মতো তরুণরাই এ মার্কেটে আসে। কারণ এখানে সুইটেবল প্রাইসে রুচিশীল পোশাক পাওয়া যায়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের জন্য। আর ব্যবসায়ীরাও তরুণ। তারা আমাদের কথা মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করেন। তাই বাহারি ডিজাইনের দেশীয় পোশাকের জন্য আজিজ সুপারই তরুণ-তরুণীদের পছন্দ।
 
শুধুমাত্র পাঞ্জাবি বিক্রির জন্য খ্যাত মুনা ক্রাফটসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সজল বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার থেকে বেচা-বিক্রি বেড়েছে। তরুণদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদের পোশাক তৈরি করছি।
 
পোশাকে কাপড়ের ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে শতভাগ দেশীয় কাপড়ে পোশাক তৈরি করা হতো। এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাইরের কাপড় ব্যবহার করা হয়। কারণ বাইরের কাপড় টেকসই হয়।
 
পাঞ্জাবির দামের বিষয়ে মোহাম্মদ সজল বলেন, দাম বেশি রাখা হয় না। মধ্যবিত্তের আয়ত্বের মধ্যেই আছে। ১৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩২৫০ টাকার মধ্যে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে দাম হওয়ায় বিক্রি ভালো।
 
নগরীর ধানমন্ডি থেকে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাবাকে সঙ্গে নিয়ে জামা কিনতে এসেছেন এ মার্কেটে। তিনি বলেন, বড় বড় মার্কেটের চেয়ে এখানে মনের মতো জামা পাওয়া যায়। এখানে নিত্যনতুন ডিজাইনের মধ্যে সৃজনশীলতা বেশি। তাই জামা কিনতে প্রথম পছন্দ আজিজ সুপার।    
‘দেশীয়া’ ফ্যাশন হাউজের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, মেয়েদের জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের পাঞ্জাবিও আছে। মূলত গত সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা বেড়েছে, চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। মেয়েদের জামা ৬৫০ টাকা থেকে ২৩৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর ছেলেদের পাঞ্জাবি ৯৫০ থেকে ১৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়:১৪১০ ঘণ্টা, জুন ১৭,২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।