ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, মাংসের দর অপরিবর্তিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
চালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, মাংসের দর অপরিবর্তিত চালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, মাংসের দর অপরিবর্তিত

ঢাকা: গত এক সপ্তাহ ধরে চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। তবে কেজি প্রতি ১-২ টাকা করে দাম বাড়ছে নাজিরশাইল চালের। অন্যদিকে মাংসের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।

সর্বশেষ বাজার দরে চাল-মাংস নিয়ে স্বস্তিতে নেই ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সরেজমিনে শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা গেছে, বিগত ২-৩ মাসের মধ্যে চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল।

তবে চালের দর নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।

গরুর মাংসের দামের ঊর্ধ্বগতি চলমান। তবে অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগি।

চালের ক্ষুদ্র বিক্রেতারা জানান, সর্বশেষ দর নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন তারা। আমদানিকৃত চাল বাজারে এলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি মজুদকৃত চালের সরবরাহ। ফলে দাম এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে না। এরই মধ্যে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১-২ টাকা দাম বেড়েছে নাজিরশাইল চালের।

চাল বিক্রেতাদের অন্য অংশ দাবি করছেন, চালের বাজার আরও স্বাভাবিক হবে। তবে এজন্য আরও মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে।

মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বর্তমান চালের বাজারের হিসাব আমরা বুঝছি না। এই দাম কমে, এই বাড়ে। ফলে ক্রেতারা যেমন অসন্তুষ্ট, তেমনি আমাদের ব্যবসায়ও ক্ষতি হচ্ছে’।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আসলে মজুদকৃত চাল বাজারে আসছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। সরকার যে পর্যন্ত মজুদকারী ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের না ধরবে, সে পর্যন্ত দামের উত্থান-পতন চলতেই থাকবে’।

তবে একই বাজারের আরেক চালের ব্যবসায়ী রশিদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজার আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল আছে। মাসখানেকের মধ্যে দাম আরও কমবে বলে আশা করছি’।

সর্বশেষ খুচরা দর অনুসারে প্রতি কেজি মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা, বিআর-২৮, পারিজা) ৪৫ টাকা থেকে ৪৬ টাকা, যা গত সপ্তাহেও একই ছিল। গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মিনিকেট চালও ৫৫-৫৬ টাকায়। তবে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ১-২ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৩ টাকায়।

অন্যদিকে হাতিরপুল বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের আগে গরু কিংবা খাসির মাংসের দাম কমার কোনো লক্ষ্মণ নেই। কোরবানির পশু বিক্রি করেও যদি যথেষ্ট পরিমাণে বেচে থাকে, তাহলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি না থাকে, তাহলে দাম কমবে না’।

‘গরু ও খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের কেনা-বেচা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক কম। ফলে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি’।

সর্বশেষ বাজারদর অনুসারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগির মধ্যে প্রতি পিস বড় কক ২০০-২২০ টাকা ও ছোট কক বিক্রি হছে ১৩০ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা,  জুলাই ২৯, ২০১৭
এমএসি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।