ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে চালু হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে চালু হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট বেনাপোল ইমিগ্রেশন- ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে এবং পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিরোধে চালু হতে যাচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম।

রোববার(৩০ জুলাই) সকালে বাংলানিউজকে একথা জানান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর শরীফ।

ওসি ওমর শরীফ বলেন,খুব দ্রুতই ইমিগ্রেশন ভবনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।

যার পাসপোর্ট তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশ ডেক্সের সামনে উপস্থিত হয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেবেন। ওই ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য কমপিউটারে সাপোর্ট করবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট ছাড়া কোনোভাবেই কোনো পাসপোর্টধারী যেতে পারবেন না। এর ফলে পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা সম্ভব  হবে। কোনো অনিয়মের সুযোগ আর থাকবে না।


যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় এপথে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা,চিকিৎসা, বেড়ানো ও কূটনৈতিক কাজে দেশ-বিদেশি মানুষের যাতায়াত বেশি হয়। আগামী দিনে যাত্রীসেবা বাড়াতে আরো আধুনিকতর পদ্ধতি সংযুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

ইমিগ্রেশনসূত্র জানায়,বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ জন দেশি-বিদেশি পাসোপার্টধারী যাত্রী। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৮৭ জন, ভারতীয় ৮৫ হাজার ৫৫১, অন্যান্য দেশের ১ হাজার ৪৭ জন।

আর ভারত থেকে বাংলাদেশে আগমন করেছেন ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৭০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ৬ লাখ ২৪ হাজার ২২২ জন, ভারতীয় ৮৭ হাজার এবং অনান্য দেশের ২ হাজার ৭৪৮ জন।

যাতায়াতের এ খাত থেকে এসময় ভ্রমণ-কর বাবদ ৫ বছরের উর্ধ্বে সব যাত্রীর কাছ থেকে সরকারের সমুদয় রাজস্বআয় হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এদিকে এপথে যাতায়াত দিনদিন বাড়লেও সেবার মান ততোটা বাড়েনি। বলতে গেলে এক প্রকার দুর্ভোগ ও হয়রানির মধ্য দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। বখাটে, পাসপোর্ট দালাল থেকে শুরু করে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টম সদস্যরা অর্থের দাবিতে যাত্রীদের আটকে হয়রানি করে থাকেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যদেরও অহেতুক হয়রানি থেমে নেই। কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভারতফেরত সকল যাত্রীকে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করছে। বিভিন্ন সময় উধ্বর্তন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে হয়রানি বন্ধে সতর্কতা বার্তা দিলেও কোনো কাজ হয় না। অনিয়ম যেন এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে বিশেষ করে বিদেশি যাত্রীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

 

অন্যদিকে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি উদ্বোধনের তিন বছর পর গত মাসে কার্যক্রম চালু হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত টয়লেট ছাড়া কোনো সেবা শুরু হয়নি। অহেতুক যাত্রীপ্রতি ৪০ টাকা ভ্রমণ-ফি আদায় করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে।


বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক(প্রশাসন) রেজাউল ইসলাম বলেন, যাত্রী সেবা বাড়াতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের সব সেবা খুব দ্রুত চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়:১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
এজেডএইচ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।