ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

ঢাকা: ব্যবসা বাণিজ্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে দেশের পর বিদেশে গিয়েও যাতে জালিয়াতি করতে না পারে সেজন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এই অভিযোগ করেছেন বিশ্বরূপ চক্রবর্তী নামে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী।
 
অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেন।

সেগুলো খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন, নাসপে ইন্টারন্যাশনাল, আরডিএফ ও হার্ড-ওন ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজিস।

উদ্দীপন এনজিও’র প্রধান নির্বাহী ইমরানুল হক চৌধুরী, নাসপে ইন্টারন্যাশনালের মালিক আবুল মনসুর, আরডিএফ’র এর মালিক মোশারফ হোসেন ও হার্ড-ওন ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজিসের মালিক গোলাম মোস্তফা।

বিশ্বরূপ চক্রবর্তী অভিযোগে বলেছেন, ঢাকা ভিত্তিক হার্ড-ওন ইন্টারন্যাশনাল ও সিঙ্গাপুর ভিত্তিক নাসপে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংককে তাদের মাধ্যমে লেনদেনের প্রস্তাব দিচ্ছে। এর আগেও তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন, নাসপে ইন্টারন্যাশনাল, আরডিএফ ও হার্ড-ওন ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজিস। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে আরও প্রতিষ্ঠান খুলে জালিয়াতির চেষ্টা করছে। এ ধরনের জালিয়াতির কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বিশ্বের কাছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

ইতিমধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও বিভিন্ন কোম্পানি খুলে জালিয়াতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই চারজনকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের কালো তালিকাভুক্ত করার আবেদন করছি। যেন তারা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এমন জালিয়াতি করতে না পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরানুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান বিশ্বরুপ চক্রবর্তীর কাছ থেকে কিছু প্রযুক্তি সেবা নিয়েছে। আমার সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো সমস্যা হওয়ায় এই অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে আমাকে ফোনও করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উদ্দীপনের প্রধান নির্বাহী ইমরানুল হক চৌধুরী ছাড়া কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এসই/এসআরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।