ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সমন্বিতভাবে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করুন’

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
‘সমন্বিতভাবে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করুন’ একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: জলাবদ্ধ চট্টগ্রামকে রক্ষায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬টি খাল নিয়মিত খননেরও নির্দেশ দেন তিনি।

বুধবার (০৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেন, ‘সমন্বিতভাবে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে।

শুধু সিডিএ নয়, এর পাশাপাশি অন্যদেরও একযোগে কাজ করতে হবে। নিয়মিতভাবে চট্টগ্রামের খালগুলো খনন করতে হবে। তবেই চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর হবে’।

একনেক সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনসুল ইসলাম মাহমুদ,  সিডিএ’র চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম অংশ নেন। তবে চসিকের মেয়র চসিক মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে। আর সিডিএ প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নেরও দায়িত্ব পেয়েছে সংস্থাটি।

এর আগে একই ধরনের প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিলো চসিকও। তাদের প্রস্তাবনায় বলা হয়, পাঁচ হাজার কোটি টাকায় ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম নগরী। ‘পাওয়ার চায়না’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নেরও প্রস্তাব দেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

তবে সিটি মেয়রের প্রস্তাবটি স্থগিত করে সরকারের অনুমোদন পাচ্ছে সিডিএ’র চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের প্রস্তাবিত প্রকল্প।
 
‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প’টির আওতায় চট্টগ্রামের ৩৬টি খাল খনন করে করবে সিডিএ। সরকারি অর্থায়নে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
 
৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘এক্সপার্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস্‌’ প্রকল্পটিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। পণ্য রফতানি বাজারে প্রবেশ ও রফতানি প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সমস্যা দূর করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুতেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কোরবানির সময় গরুর চামড়া সংগ্রহেও দক্ষ জনবল ব্যবহার করতে হবে। দক্ষ জনবল দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করলে বিদেশে ভালো দাম পাওয়া যাবে’।

অনুমোদিত ১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মহেশখালী পাওয়ার হাবের ভূমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্পটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ এলাকায় অনেক লবণচাষি রয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তাদের কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয়। লবণচাষিদের যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ দিয়েই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে এসব চাষিদের ঘর-বাড়িও নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।