ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালে সবজির বাজারে ‘আগুন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
বরিশালে সবজির বাজারে ‘আগুন’ বরিশালের সবজির বাজার

বরিশাল: বৃষ্টির অজুহাতে বরিশালের সবজি’র পাইকারি বাজারে দাম চড়া। এর প্রভাব পড়েছে খুচরো  সবজির বাজারেও।

বাধ্য হয়েই বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে আগামী ২-১ সপ্তাহের মধ্যে সবজি’র বাজারে দামের এ উত্তাপ কমে যাবে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে বরিশাল নগরের চৌমাথা বাজারের কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী আ. ছালাম জানান, বৃষ্টির কারণে ও সবজি’র আমদানি কম থাকায় এখন কাঁচা বাজারের সবকিছুর দাম একটু বেশি। তবে ১৫ দিনের মধ্যে সবজির বাজার দর কমে যাবে বলে জানান তিনি।

আ. সালাম জানান, এখন চৌমাথা বাজারে বরবটি কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাশাপাশি কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, সিম ১৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ো ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি লেবু হালি প্রতি ২০ টাকা, কাঁচা কলা হালি প্রতি আকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শাপলার আটি ১০ টাকা, চালকুমড়ো আকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা,  লাউ শাক মুঠো প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, আমড়া ‍পিস প্রতি ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিন আগে এসব সবজির দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কম ছিলো বলে জানান তিনি।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে, যে মরিচ এক সপ্তাহ আগে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি করতেন, সেখানে এখন তা বিক্রি করছেন ১৬০ টাকায়, ২০ টাকার পেঁপে ৩০ টাকায় , ২৫ টাকা কেজির শসা ৩৫ টাকায়। এভাবে সবকিছুই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বরিশালে মাছের বাজার বরিশাল নগরের স্টিমারঘাট সংলগ্ন পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, বর্ষা ও ক্ষেতে পানির কারণে কাঁচামালের আমদানি অনেকটাই কম। পাশাপাশি পণ্য পচে যাওয়ার শঙ্কাও এখন অনেকটা বেশি তাই অনেক সময় কেনা দামের নীচেও কাঁচামাল বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।

তবে পাইকারি বাজারেও চলতি সপ্তাহে সব সবজিরই দাম বেড়েছে বলে জানালেন মেসার্স দুলাল বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী সিরজুল ইসলাম দুলাল। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাইকার বাজারে বেগুনের কেজি ছিলো ৩৫ টাকা এখন ৪৫ টাকা, ৪০/৪২ টাকার পটল গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। এভাবে ২৫ টাকার করলা এখন ৪০ টাকা, ১৮/২০ টাকার শসা ২৫ টাকা, ৮০ টাকার কাঁচামরিচ ১১০ টাকা দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

তবে তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম সব সময় ওঠা নামা করে। সকালে যদি শসার দাম থাকে ২৫ টাকা বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কমে দাঁড়ায় ২০ টাকায়।  

ফজলুল বারী নামের এক চাকরিজীবী বললেন, বাজারে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করছেন। এক্ষেত্রে ১ কেজির স্থলে কিনতে হচ্ছে আধ কেজি। আবার কিনতে চাচ্ছেন বরবটি, কিন্তু সাধ্যের মধ্যে কথাটির কারণে কিনতে হচ্ছে পেঁপে। আর কোন কিছুর দাম একবার বাড়লে তা কমতেও চায় না সহজে। তাই যত ভোগান্তি আর ক্ষতি সব ক্রেতাদেরই ভাগ্যেই লেখা থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।