ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বাড়ছে সম্ভাবনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বাড়ছে সম্ভাবনা আইসিসিবিতে ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’ এ অংশ নেয়া একটি চীনা কোম্পানির স্টল

ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পখাতে দেশ দিন দিন উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই এ খাতে সৃষ্টি হচ্ছে দেশি-বিদেশি নতুন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ উদ্যোক্তা।

কুড়িলে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’তে ঘুরে পাওয়া গেল এই চিত্র।

শনিবার (১২ আগস্ট) সমাপনী দিনে প্রদর্শনীর চার নম্বর প্রিমিয়াম হলে চীনের জিইয়াঝিং চুয়াংমেং আইএমপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লি.-এর দুইটি স্টল।

কোম্পানিটি এই প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সর্ববৃহৎ ও আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীতে।

প্রথমবার অংশগ্রহণের পরেই বাংলাদেশে কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানা স্থাপনের চরম উৎসাহে ইতোমধ্যেই তারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে যোগাযোগ করেছেন কারখানা ভবন স্থাপনের জায়গা পাওয়ার আশায়। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিউ কাই হং বাংলানিউজকে জানান, এদেশের মানুষজন অনেক আন্তরিক। তাদের সাথে কাজ করে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। এছাড়া বাংলাদেশিরা অনেক বুদ্ধিমানও বটে। আমরা বাংলাদেশে বসে সূতা উৎপাদন থেকে শুরু করে একেবারে কাপড় উৎপাদন করতে চাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। এই প্রদর্শনী শেষ হলে আমরা সেখানে জায়গা দেখতে যাবো। তবে আমাদের কাছে চট্টগ্রাম ইপিজেডের জায়গাটা বেশি ভালো লেগেছে।

কোম্পানির চেয়ারম্যান মি. ঝ্যাং বলেন, এই প্রদর্শনীতে এসে আমাদের ভালো উপকার হয়েছে। আমরা হয়তো আমাদের কারখানার জন্য বেশিরভাগ কাঁচামাল চীন থেকেই আনবো। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা এদেশে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বিক্রি করবো। তাতে করে এদেশে নতুন নতুন এবং উন্নতমানের কাঁচামাল ও প্রযুক্তি আসবে এবং বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নতি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশে আমরা যে যানজট দেখি তাতে শিল্প কল-কারখানাগুলোর মালামাল পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমি মনে করি প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ উন্নত হলে এ সমস্যা অচিরেই দূর হয়ে যাবে। আর এ উন্নয়নের জন্য কল-কারখানাগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন জরুরি। চায়নাতেও এক সময় এ রকম ছিল। আমরাও সে সমস্যা সমাধান করেই বর্তমান অবস্থানে এসেছি।

এদিকে চীনের ন্যানটং কনভের্জ ইন্ডাস্ট্রিজ লি. চায় বাংলাদেশে স্থায়ী অফিসের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে। এই কোম্পানিটির মূল পণ্য হচ্ছে জামাকাপড়সহ ব্যাগ ও অন্যান্য সবকিছুর চেইন নিয়ে।

কোম্পানিটির মহাব্যবস্থাপক ক্লাউডা বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। তাই আমরা এখন অনেক আগ্রহী বাংলাদেশে আমাদের বিজনেস সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে। এই প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য আমরা আয়োজক কমিটিকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

এভাবে প্রদর্শনীতে আসা ১৪০০টি স্টলের মধ্যে বহু কোম্পানি রয়েছে যারা বাংলাদেশে এই প্রথম এসেছে এবং এদেশে তারা ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এমএএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।