ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির দাম চড়া, মাছে স্বাভাবিক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
সবজির দাম চড়া, মাছে স্বাভাবিক  সবজির দাম চড়া, মাছে স্বাভাবিক 

ঢাকা: বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারেও। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে মাছের দাম স্বাভাবিক বলে জানান ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) কারওয়ানবাজার ও মিরপুরসহ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে গেলে সবজির দাম বৃদ্ধির জন্য সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতিকে দায়ী করেন ব্যবসায়ীরা। তবে সবজির ‘আগুন দাম’ উল্লেখ করে বন্যা পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির অজুহাত বলে অভিযোগ তোলেন ক্রেতারা।

আলু ছাড়া প্রতিটি সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। খুচরা বাজারে এসে সেই সবজি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে।  


খুচরা বাজারে করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা ও শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  
 

প্রতি পিচ লাউ ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৬০-৮০ টাকা এবং হালিপ্রতি কাঁচকলা ৫০ টাকা বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। পাকা টমেটো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার একবারেই বাইরে চলে গেছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।  

শুধুমাত্র বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২৫ টাকা করে।  

শাকের দামেও ঊর্ধ্বগতি। প্রতি আঁটি লাউ শাক ২৫-৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা ও কঁচু শাক ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘সারা দেশে বন্যা হচ্ছে, পানিতে ডুবে আছে সবজির ক্ষেত। ঢাকায় সবজির গাড়ি আসতে পারছে না। এ অবস্থায়  দাম তো বাড়বেই’।  


নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘বন্যা হলে সবজির দাম বাড়বে- এটি স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক নয়’।  

সবজির দাম অস্বাভাবিক বেশি বলে অভিযোগ করেন ক্রেতা মাসুদ রহমান। তিনি বলেন, ‘একবারে লাগামছাড়া দাম দেখছি সবজির। বন্যার কারণে এতো বাড়বে- এটি মেনে নেওয়া যায় না। নিম্ন আয়ের মানুষ দামের সঙ্গে পেরে উঠবেন না’।  

তবে মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। সাইজ ভেদে প্রতি কেজি রুই ১৭০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় সাইজ ৬০০ টাকা, বড় কাতলা ২৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০ টাকা ও দেশি টেংরা মাছ ৩০০ টাকা এবং প্রতিটি ইলিশ ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে মাছ কিনতে আসা মো. মানিক বলেন, ‘বাজারে প্রচুর মাছ দেখতে পাচ্ছি। দেশি মাছও অনেক এসেছে। দাম স্বাভাবিক মনে হচ্ছে, নাগালের মধ্যেই আছে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এমসি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।