ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪৪ গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
৪৪ গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা! ঈদ এলেই কিছু কারখানায় বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় (ফাইল ফটো)

ঢাকা: প্রতিবারই ঈদ এলে কিছু কারখানায় বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। আসন্ন ঈদ-উল আযহার আগেও ৪৪টি গার্মেন্টস্‌ কারখানায় অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে বলে উঠে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে।

ওই ৪৪টি কারখানায় কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক।

বকেয়া বেতন-বোনাস নিয়ে ঈদের আগে শ্রমিক অসন্তোষের ঝুঁকিতে থাকা এসব কারখানার বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় ও কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরকে অবহিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

মাঠ পর্যায় থেকে কারখানাগুলোর তালিকা সংগ্রহ করেছে কল-কারখানা অধিদফতর। ইতোমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তালিকাভূক্ত টপ অ্যান্ড বটম গার্মেন্টস ও মিলেনিয়াম গার্মেন্টসে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো শ্রম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে,  বেতন-বোনাস ইস্যুতে ঈদের আগে রাজপথেও নেমে আসতে পারেন শ্রমিকরা। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাই গত ১৬ আগস্ট গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির ৩৫তম সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে শ্রম মন্ত্রণালয়। সভায় ৪৪টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে মালিকপক্ষকে। আর শ্রমিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে আমাদেরকে ৪৪টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ তৈরির আশঙ্কার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু শ্রম মন্ত্রণালয় আমাদের সেসব কারখানার তালিকা দেয়নি। আমাদের মাঠ পর্যায়ে যেসব পরিদর্শকরা রয়েছেন, তারা সংগ্রহ করে ৪৪টি কারখানার তালিকা দিয়েছেন। আমরা সেসব কারখানায় যেন কোনো শ্রমিক অসন্তোষ না হয়, সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, কোনো ধরনের শ্রমিক অসেন্তাষ হবে না’।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মালিকরা বরাবরই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিতে নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করেন। আর তাই প্রতিবারই শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয় যে, ৪৪টি কারখানায় বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মালিকরা কি এটা বুঝতে পারেন না? তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এসব করে থাকেন। সরকারের উচিত, এসব মালিককে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তাহলেই মালিকরা ঠিক হবেন’।

তিনি বলেন, ‘সারা বছর শ্রমিকরা কাজ করেন একটু শান্তিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুই ঈদ উদ্‌যাপন করতে। আর ঈদ এলে যদি তাদের বেতন-বোনাস পেতে আন্দোলন করতে হয়, তাহলে এর চেয়ে দু:খজনক আর কিছু নেই’।

তবে এসব বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।