ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নয় মাসেও শেষ হয়নি সাত কোম্পানির কারসাজির তদন্ত!

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
নয় মাসেও শেষ হয়নি সাত কোম্পানির কারসাজির তদন্ত!

ঢাকা: নয় মাসেও কারসাজির মাধ্যমে সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কোনো কোম্পানিতে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে কি-না- তাও জানানো হয়নি।

ছবি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

দ্রুত তদন্ত করে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনায় নতুন করে আরো অর্ধশত কোম্পানির শেয়ারের দামও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।  

কোম্পানিগুলো হচ্ছে-রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড, ফাইন ফুডস, বিডি অটোকারস্‌, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ, জিলবাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শ্যামপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড।

সবগুলোই ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত কোম্পানি।
 
গত বছরের ০৬ ডিসেম্বর কারসাজির মাধ্যমে ‘অস্বাভাবিক হারে’ ওই সাত কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে কি-না- তা খতিয়ে দেখতে দু’সদস্যের তদন্ত কমিটিটি গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি’র চেয়্যারম্যান খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে নিয়মিত সভায় গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান।  

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, তদন্তের কাজ শেষের দিকে। কিছু কোম্পানির প্রতিবেদন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে রয়েছে।
 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুসারে তদন্তের আওতায় আসা ওই সাত কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়। এর মধ্যে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
 
এর মধ্যে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ফাইন ফুডসের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে ০৬ ডিসেম্বর দাঁড়ায় ২৪ টাকায়। প্রায় আড়াই মাসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।  

ওই বছরের ১০ অক্টোবর ডিএসইতে বিডি অটোকারসের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৩ টাকা ২০ পয়সা, যা দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ টাকা। অর্থাৎ প্রায় দু’মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
 
একইভাবে প্রায় ১৫ দিনে জিল বাংলা সুগারের প্রতিটি শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হয়ে ০৬ ডিসেম্বর দাঁড়ায় ৩৩ টাকায়। গত ১৫ দিনে মেঘনা পিইটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ২ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা। একমাসের ব্যবধানে শ্যামপুর সুগারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৮ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৯ টাকা।
 
দেড় মাসে ইমাম বাটনের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকায়। আর প্রায় এক মাসে মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সায়।  

বিএসইসি জানিয়েছে, ওই সাত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ঋণাত্মক।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।