ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোলায় চামড়া কিনে লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
ভোলায় চামড়া কিনে লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: লাভের আশায় গত বছর চামড়া কিনেছি, লাভ তো দুরের কথা চালান পর্যন্ত উঠেনি। এ বছরও চামড়া কিনে লোকসানের মুখে। দুই বছরে ১৪ লাখ টাকার চামড়া কিনে চরম লোকসানে পড়েছি। ক্ষোভের সাথে এভাবেই বলছিলেন ভোলার চামড়া আড়ৎদার ইসমাইল হোসেন।

তিনি বলেন, একদিকে লবণের দাম বেশি অন্যদিকে পাইকারী আড়তে চামড়ার দাম কম থাকায় চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।

এদিকে কোরবানির ৮দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ চামড়া বিক্রি করতে পারেননি।

এভাবে চলতে থাকলে চামড়া পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চামড়া কিনে এমন সংকটে শুধু ইসমাইল নয়, একই অবস্থা ইউসুফ, নুর উদ্দিন, মোস্তাকিম, আ. মালেক, কামাল হোসেন ও ফারুকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও। এ মৌসুমে চামড়ার বাজার মন্দা ও লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

ভোলা জেলা সদরসহ ৭ উপজেলায় শতাধিক চামড় ব্যবসায়ী ও অর্ধশতাধিক আড়ৎ থাকলেও এ বছর এখনো চামড়া বেচা-কেনা জমে উঠেনি। শুরুতে বেশি দাম দিয়ে চামড়া কিনে সেই দাম পাবেন কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তাদের ব্যবসায়।

ব্যবসায়ীরা জানায়, গত বছর যে চামড়ার দাম ছিল প্রতি পিস ৩০০-৩৫০ টাকা, এ বছর সেটা কিনতে হয়েছে ৫০০ টাকা দরে। এর মধ্যে লবণ ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে চামড়ার দাম পড়েছে প্রায় ৭০০ টাকা। কিন্তু পাইকারী বাজারে চামড়ার দাম প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা। এতে লাভ  হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্যবসায়ীরা আরো জানায়, গত বছর প্রতি বস্তা লবণ ছিল ১২শ’ টাকা যা বর্তমানে ১৫’শ টাকা। চামড়া ও লবণের দাম সমান তালে বেড়ে যাওয়ায় লাভ তো দুরের কথা লোকসান গুণতে হবে অনেক ব্যবসায়ীকে।

ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারে চামড়ার আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা লবণ দিয়ে চামড়া প্রস্তুত করছেন। ঈদের পর ৮ দিন কেটে গেলেও অনেকেই চামড়া বিক্রি করেননি। গত বছর এমন দিনে চামড়ার কেনা-বেচা জমে উঠলেও লোকসানের চিন্তায় অনেকেই চামড়া বিক্রি করছেন না।

চামড়া আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর লোকসান হওয়াতে এ বছর মাত্র ৩৫০টি চামড়া কিনেছি, পাইকারী আড়তে এখণ দাম কম থাকায় বিক্রি না করে আড়তেই মজুদ রাখা হয়েছে। বাজারে দাম বাড়লে বিক্রি করবো। না হয় লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বেশিরভাগ চামড়া ব্যবসায়ীর একই অবস্থা। লোকসানের চিন্তায় চামড়া বিক্রি না করে মজুদ রেখেছেন তারা। তবে দুই মাসের মধ্যে চামড়া বিক্রি করতে না পারলে সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭

টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।