ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় ৫৩ টাকার চাল ৬৪ টাকায়!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
খুলনায় ৫৩ টাকার চাল ৬৪ টাকায়! ছবি:মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: মাত্র এক সপ্তাহ আগে যে চাল কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৫৩ টাকায় তা এখন ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লাফে কেজি প্রতি ১১টাকা বাড়ায় বেশ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। নানা প্রশ্ন করছেন দোকানিদের। বিক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার বড় বাজারের চালের আড়ৎ মেসার্স মুরাদ ট্রেডিংয়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।  

এ সময় চাল কিনতে আসা নগরীর তালতলা হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা গৃহিণী শাহানা পারভীন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর অজুহাতে দোকানিরা হুজুগে চালের দাম বাড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে মিনিকেট কিনেছি ৫৩ টাকায়। এখন সেই চাল ৬৪ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

এ অবস্থার জন্য বাজার মনিটরিং এবং সঠিক তত্ত্বাবধায়নের অভাবকে দায়ী করেন তিনি।

কেন এক লাফে চালের দাম এত বেড়েছে জানতে চাইলে মেসার্স মুরাদ ট্রেডিংয়ের বিক্রেতা জিয়াউল হক মিলন বলেন, আমাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ সময় তিনি চাল কেনার রশিদও দেখান।  

অভিযোগ করে তিনি বলেন, মিল মালিকদের কারসাজির কারণে চালের মূল্য ঊর্ধ্বগতি হয়েছে।  আর ক্রেতাদের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে।

দিনাজপুর ভাণ্ডারের মালিক মো. ফারুক বলেন, বন্যার কারণে ধানের সঙ্কট ও ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে চালের দাম বেড়ে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত রোববার বাসমতি বিক্রি হয়েছে ৬৩ টাকা। এখন তা ৭০ টাকা। মিনিকেট ৫৩ এখন ৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৫৬ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায়, বালায় ৪৭ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলসি বালাম ৪১ থেকে বেড়ে ৫০ টাকায়। মোটা স্বর্ণা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকায়।  

ছবি:মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমভাইটাল ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা, বালাম আতপ ৩৬ থেকে ৪২ টাকায়। বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল মিলছে না। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, চাল মজুদ করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কিছু অসাধু আমদানিকারক, চালকল মালিক ও আড়তদার। ফলে দ্রুত বাড়ছে চালের দাম।

খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, হাওরে আগাম পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির পর দুই দফা বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে বেশ কয়েক মাস আগে বেড়ে যাওয়া চালের দাম গত কয়েকদিনে আরও বেড়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের পর দাম বেড়েছে আরও বেশি।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারিভাবে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা  করা হয়েছে। সোমবার থেকে খুলনায় ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হলে খোলা বাজারে চালের দাম কমে আসবে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষরা  উপকার পাবেন।

তিনি জানান, নগরীর ২০ টি স্থানে ২০জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস এর চাল বিক্রি করা হবে। একজন সাধারণ ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল নিতে পারবেন। ওএমএস এর চাল বিক্রি হবে ৩০ টাকা কেজি।

বাংলাদেশ সময়:  ১৮৩৮ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।