ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বহিষ্কৃত কর্মচারীদের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ মন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
বহিষ্কৃত কর্মচারীদের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ মন্ত্রীর

ঢাকা: বহিষ্কৃত কর্মচারীদের সঙ্গে রূপালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

রোববার (১৫ অক্টোবর) রূপালী ব্যাংক ভবনের সিবিএ ইউনিয়ন কার্যালয়ে আকস্মিক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।  
 
শাজাহান খান বলেন, আন্দোলন, সমাবেশ করতে গিয়ে ব্যাংক কর্মচারীদের অনেকে নিহত, আহত হয়েছেন।

সে নামও আমার কাছে আছে।  

কোনো এমডি বা চেয়ারম্যানের উপর বোমা মারা হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা জীবন দিয়ে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদের উপর আঘাতকে আমি মনে করি জাতির উপর আঘাত, সরকারের উপর আঘাত।
 
শাজাহান খান বলেন, যারা এ আঘাত করছেন, আমি বলবো আপনারা বিবেচনা করুন। বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করুন। যারা আজ কর্মকর্তা আছেন, হাই অফিসিয়াল আছেন, আমি তাদের অনুরোধ করবো, একটি সম্মানজনক সমাধান করুন। সেখানে যদি আমার কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, অবশ্যই করবো।
 
‘আমি বলবো যারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর, তারা ভুল বুঝছেন। তবে আইনের মাধ্যমে থেকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে’।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচারণের দায়ে চলতি বছরের ১৯ জুলাই রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের সিবিএ সভাপতি খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ, সেক্রেটারি মো. কাবিল হোসেন কাজী ও কেয়ারটেকার মো. আরমান মোল্লাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। এছাড়াও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে ড্রাইভার মো. আবুল কালাম আজাদকে।
 
ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে কেয়ারটেকার মো. আনোয়ার হোসেন, ছাব্বির আহমেদ ভুঁইয়া ও মনিরুল ইসলামসহ অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (গ্রেড-১) মো. আহসান হাবিবকে।

এর আগে ১৩ জুলাই সিবিএ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও একজন কেয়ারটেকারকে কেন বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব চেয়েছিল ব্যাংক। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চূড়ান্ত বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
 
সিবিএ সভাপতি-সম্পাদককে বহিষ্কারের পরও চলতি বছরের ২৩ আগস্ট ব্যাংক কার্যালয়ে শোকদিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিবিএ ইউনিয়ন। যাতে অতিথি করা হয় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর  মাহামুদ, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধানকে।
 
বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা হলে ৯ জুলাই একটি নোটিশ জারি করা হয়।  

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কর্মচারী ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে ২৩ আগস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে দিলকুশা ও মতিঝিলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।
 
ওই পোস্টারে সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তারা ব্যাংকের কেউ না। এছাড়াও পোস্টারে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সম্মতি নেওয়া হয়নি। পরে শোকদিবসের আলোচনা সভায় কেউই উপস্থিত হননি।  

দীর্ঘদিন পর হঠাৎ শাজাহান খান রূপালী ব্যাংক সিবিএর আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
 
এসময় রূপালী ব্যাংকের বহিষ্কৃত কর্মচারী মোস্তাক হোসেন, কাজী কাবিল হোসেনসহ ব্যাংকের কর্মচারীর‍া উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বেলা আড়াইটার দিকে শাজাহান খান দিলকুশায় রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করার সময় সিবিএ নেতাদের স্লোগানে ব্যাংকের লোকাল শাখার গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ব্যাংকের লেনদেনেও কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।