ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দামের সীমা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ ও আদা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
দামের সীমা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ ও আদা! ফাইল ফটো

ঢাকা: গত দুই সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের বাজার চড়া। দেশি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দর হয়েছিল ৫৫ টাকা আর  আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকা। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে আরেক দফা হাওয়া লেগেছে। কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ এখন ৭০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের চড়া দামের সঙ্গে নতুন করে এখন যুক্ত হয়েছে আদাও। চলতি সপ্তাহেই কেজিপ্রতি আদা ১০০ টাকা থেকে এক লাফে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর কাঁচাবাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও আজিমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

পেঁয়াজের ক্রমাগত চড়া দাম এবং নতুন করে যুক্ত হওয়া আদার চড়া দাম সম্পর্কে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তারা যেমনটি বলছেন, আদা ও পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। পেঁয়াজের আমদানিতে ভাটা পড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। তাছাড়া টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতি হয়েছে দেশীয় পেঁয়াজের চাষ ও মজুতে।
 
অন্যদিকে আদার আমদানিও কমেছে গত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে বাজারে আদার দামও বাড়তি।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন আদা ও পেঁয়াজের আমদানি নাকি কমেছে। ফলে বাজারে দাম বাড়তির দিকে। বাড়তি দাম দিয়ে কিনে এখন আমাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মোহাম্মাদপুর কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা মিজান বাংলানিউজকে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম হঠাৎ করে কেন যেন বেড়ে যাচ্ছে। একটি পণ্যের দাম কমলে হঠাৎ করে আরেকটির দাম বেড়ে যায়। তবে পেঁয়াজ ও আদার দাম শিগগির কমবে বলে মনে হচ্ছে না।

অন্যদিকে এক মাস ধরে চলা সবজির বাজারে দামের পাগলা ঘোড়া কিছুতেই বাধ মানছে না। সবজির  সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বেগুণ ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ৭০  টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাজিরশাইল ছাড়া বাকি সব চালের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ৬৭ টাকা থেকে ৩ টাকা বেড়ে গিয়ে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
চালের বাজারে দামে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্রতিকজি মিনেকেট ৬০ টাকা,  বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা ও পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ-মাংসের  দাম।

সর্বশেষ খুচরা বাজারদর অনুযায়ী, দেশি রসুন কেজিপ্রতি ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আমদানি করা ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের সর্বশেষ বাজার দর প্রতি কেজি বড়, মাঝারি ও ছোট চিংড়ি যথাক্রমে  ৭৫০, ৭০০ ও ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-৩০০ টাকা করে, কাতলা মাছ ১৮০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৩৮০ টাকা ও পাঙ্গাশ মাছ ১২৫ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা করে কেজি, বোয়াল ২৮০ টাকা করে কেজি ও সিলভার কার্প ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দরে অনুযায়ী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০- ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কর্কমুরগী সাইজ অনুযায়ী ১৫০ ২২০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এমএসি /জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।