ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রফতানির পরিবেশ তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের ৩৬৫৬ কোটি টাকা ঋণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
রফতানির পরিবেশ তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের ৩৬৫৬ কোটি টাকা ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিদেশে রফতানি ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

দু’টি প্রকল্পের আওতায় ৪৫ দশমিক ৫৭ কোটি ডলারের এ ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় আসবে প্রায়  ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

রোববার (০৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি)  সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দু’টি প্রকল্পের আওতায় পৃথক পৃথক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব’ প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক।

তৈরি পোশাক, রফতানি সম্ভাবনাময় চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা সামগ্রী, প্লাস্টিক, পাদুকা ও ইলেকট্রিক পণ্য রফতানির পথের সমস্যা দূর করা হবে এ ঋণে।   দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের আন্তর্জাতিক নতুন বাজারে প্রবেশেও সহায়তা করবে। ফলে দেশে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কর্মসূচি বিশেষ করে টেকনোলজি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার ‍সৃষ্টিতে কারিগরি ও শ্রম দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

অটোমেটেড কম্পিউটার নিউমেরিকাল কন্ট্রোল (সিএনসি) মেশিন, ডিজাইন ও প্যাটার্ন মেকিং ইত্যাদির প্রতিবন্ধকতাও দূর করবে।
 
অন্যদিকে ‘ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্পের আওতায় ৩৫ দশমিক ৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি।

এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অবকাঠামোর উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাব প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে।

প্রকল্পটির আওতায় অর্থায়নের যোগ্য খাতগুলো হলো-  বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ, বন্দর নির্মাণ, শিল্পপার্কের উন্নয়ন, শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, পানি সরবরাহ,  শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা , আইসিটিসহ অন্যান্য সামাজিক খাত।

বিশ্বব্যাংকের ঋণের অর্থ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।